কলকাতা: রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত বেড়ে ১৮ হাজার পার। উদ্বেগ বাড়িয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা আক্রান্ত ১৮ হাজার ২১৩ জন। গতকালের চেয়ে রাজ্যে ২ হাজার ৭৯২জন বেশি সংক্রমিত। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ৭ হাজার ৪৮৪ জন ,৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। উঃ ২৪ পরগনায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ৩ হাজার ১১৮ জনের, মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
এদিকে, আরজি কর হাসপাতালে ৫১জন চিকিৎসকের করোনা আক্রান্তের খবর জানা গিয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লক্ষ ১১ হাজার ৯৫৭। করোনা থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৯১২। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা কোপে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। রাজ্যে মোট মৃত্যু সংখ্যা ১৯ হাজার ৮৬৪। অ্যাক্টিভ কেস- ৫১ হাজার ৩৮৪। রাজ্যে পজিটিভ রেট ২৬.৩৪ শতাংশ।
মাত্র সাত মাসের ব্যবধান! দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের ১ লক্ষ পেরিয়ে গেল! উদ্বেগ বাড়িয়ে ৩ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে ওমিক্রন। সূত্রের খবর, রাজ্যে যত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়েছে, তার ৭০ শতাংশই ওমিক্রন। এদিকে, সংক্রমণের দাপটে কলকাতার একাধিক হাসপাতালে নন এমার্জেন্সি সার্জারি বন্ধ করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ বইছে দেশজুড়ে!
বাঁধভাঙা স্রোতের মতো ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। ৭ মাস পরে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ফের ১ লক্ষের চূড়া পেরলো। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল ৩০ শতাংশ! মাত্র ১০ দিনে, ৯ হাজার থেকে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ১ লক্ষের হার্ডল পেরিয়ে গেল! অর্থাৎ ১০ দিনে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার প্রায় হাজার গুণ!
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও বাড়ল সংক্রমণের হার। কলকাতার করোনা গ্রাফও উর্ধ্বমুখী। গোটা রাজ্যের নিরিখে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ল। সুনামির গতিতে ছড়ানো সংক্রমণের কবলে পড়ছেন বহু চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। যার জেরে শনিবার থেকে সমস্ত নন এমার্জেন্সি সার্জারি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। একই পথে হেঁটেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজও। এরই মধ্যে রাজ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওমিক্রনের উপস্থিতি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে করোনার সবচেয়ে সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার পার! রাজস্থানের পরে ওমিক্রনের দ্বিতীয় মৃত্যু হয়েছে বাংলার প্রতিবেশী ওড়িশায়। এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সর্বাধিক ওমিক্রন আক্রান্ত ৮৭৬ জন। এরপরই আছে দিল্লি। দেশের রাজধানীতে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।