কলকাতা: রাজ্যে আজও ২০০-র কোটায় করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ২৩০ জন। গতকাল রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২১১ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ২১,০৮,৪১৮ জন। সরকারি বুলেটিন অনুযায়ী, এই সময় পর্বে রাজ্যে করোনামুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৪০ জন। সবমিলিয়ে রাজ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০,৮৪,৯৮৬ জন। সরকারি হিসেবে রাজ্যে এই সময়পর্বে করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
বুধবার দেশের করোনা গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী। মঙ্গলবার ৫ হাজারের নিচে নেমে গিয়েছিল দেশের দৈনিক করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা। তবে কমেছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত (COVID-19 Positivity Rate) হয়েছেন ৫,৩৭৯ জন। যা মঙ্গলবার ছিল ৫ হাজারের নিচে। পজিটিভিটি রেট এই মুহূর্তে ১.৬৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের।
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত ২৯২ জন। ২৫১ জন রোগী এই মুহূর্তে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি। সবথেকে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে উত্তর ২৪ পরগনায়। আক্রান্তের সংখ্যা ৬০। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে এরপর রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি, হুগলি, হাওড়া ও মুর্শিদাবাদ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি চিকিৎসার আদর্শ চিকিৎসা বিধি সম্পর্কে সরকারি চিকিৎসকদের ওয়াকিবহাল করা হয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে প্লেটলেট মজুত রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজারের দিকে এগোচ্ছে। অথচ কেন্দ্রীয় পোর্টালে সেই সংখ্যাটা মাত্র ২৩৯! গত মে মাসে যে পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছিল, অগাস্টের শেষেও তা একই রয়েছে! আর তা নিয়েই উঠেছে ডেঙ্গির তথ্য গোপনের অভিযোগ। শুরু হয়েছে তরজা।
আবার ডেঙ্গিতে মৃত্যু। এবং আবার সেই হাওড়ায়! মশাবাহিত রোগে এবার প্রাণ গেল বালির তরুণ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের। তিন সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে হাওড়ায় তিন জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হল।