সন্দীপ সরকার, কলকাতা: রাজ্যে ফের কোভিডের (Covid Infection in WB) থাবা। কলকাতার ৩ হাসপাতালে ৩ করোনা আক্রান্ত। করোনা আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে ২ জন কলকাতার। করোনা আক্রান্ত বিহারের ৬ মাসের এক শিশুও। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করোনা আক্রান্ত বিহারের ৬ মাসের শিশু। বাকি ২ জন কলকাতার দুই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের (genome sequencing) জন্য নমুনা পাঠানো হচ্ছে কল্যাণীর ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত ৩৫৮ জন। দু’সপ্তাহে ১৬ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু। শুধুমাত্র কেরলেই ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই কোভিড সংক্রমণ নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। সিঙ্গাপুরে এবং বেশ কিছু দেশে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে কোভিড সংক্রমণ। দাপট দেখাচ্ছে কোভিডের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1
সম্প্রতি কেরলেও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এই ভ্যারিয়েন্টের। তারপর থেকেই ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। তাহলে কি ফের ছড়াবে কোভিডের ঢেউ? এমনই আশঙ্কার কথা উঠছে নানা জায়গায়। এর মধ্যেই কলকাতায় খোঁজ পাওয়া গেল ৩ নতুন কোভিড আক্রান্তের। যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যগুলি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনগুলিকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে কদিন আগেই। করোনা সংক্রমণ নিয়ে সতর্কতামূলক একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকারও। সূত্রের খবর, কলকাতা ও জেলার হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীদের জন্য বেড নির্দিষ্ট করে রাখা, পজিটিভ রোগীর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানোর মতো বিষয়গুলিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকও করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
করোনার নতুন উপপ্রজাতি JN.1-এর হঠাৎ বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বুধবার সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকের পরে, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন স্বাস্থ্যসচিব। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে, করোনা আক্রান্তদের ওপরে বিশেষ নজর রাখার সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে RT-PCR টেস্টে। পাশাপাশি করোনা পজিটিভ হলেই, রোগীর নমুনা যাতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়, সেই ব্যাপারে, হাসপাতালগুলিকে নির্দেশিকা পাঠানোর কথা বলে হয়েছে বৈঠকে। সেই কারণেই কলকাতায় যে ৩ জন কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট এশেছে, তাঁদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হবে।
ওই বৈঠকে করোনা মোকাবিলায় প্রত্যেকটি হাসপাতাল কতটা প্রস্তুত, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে, আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে, রাজ্য প্রশাসনও, প্রত্যেক জেলায়, হাসপাতালগুলিতে অন্তত কিছু বেড, কোভিড রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট করে রাখার পরিকল্পনা করেছে। কলকাতায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল এবং এম আর বাঙুর হাসপাতালে ICU-সহ কিছু বেড কোভিড রোগীদের জন্য় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: বর্ষশেষের আগে সুখবর! ১ জানুয়ারি থেকে আরও ৪ শতাংশ ডিএ রাজ্যের