ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : শুধু প্রায় ১২ লক্ষ টাকার গাড়ি নয়, বান্ধবীকে ২১ লক্ষ টাকাও দিয়েছিল ধৃত কোটিপতি কনস্টেবল ! রামপুরহাটের কনস্টেবলকে গ্রেফতারের (Rampurhat Constable Arrested) পরে চাঞ্চল্যকর দাবি রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার। পাশপাশি উপহার দেওয়া গাড়ির ট্যাক্স ভাউচারের ঠিকানায় বান্ধবীর হদিশ মেলেনি বলেই জানিয়েছে এসিবি। জানা যাচ্ছে, জমি ছাড়াও ৪ বছরে ১ কোটির টাকার সম্পত্তি কনস্টেবলের। কীভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশ ? বান্ধবীর খোঁজে তল্লাশি এসিবির।
'তদন্তের স্বার্থে ধৃত কনস্টেবলের বান্ধবীকেও হেফাজতে নেওয়া দরকার' আদালতে দাবি রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার, ২৮ তারিখ পর্যন্ত এসিবি হেফাজত। এর আগে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন অর্থের তদন্তে নেমে ধৃত কনস্টেবলনের ৭৬ লক্ষ টাকার ১২ টি এফডি, প্রায় ১০ লক্ষ টাকার জীবন বিমার হদিশ মিলেছিল। মাত্র ৪ বছরে কীভাবে কোটিপতি বারুইপুরের কনস্টেবল ? তদন্তে এসিবি (ACB)।
২৫ বছরের চাকরিজীবনে দুর্নীতির অভিযোগে মনোজিৎ বাগীশের বিরুদ্ধে বারবার বদলি করা হয়েছে। পুলিশের কনস্টেবল হলেও তাঁরই কি না এমন প্রাসাদোপম বাড়ি, SUV গাড়ি। ৭৬ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট! ১০ লক্ষ টাকার জীবন বিমা ! অভিযোগ, বান্ধবীকে উপহার দিয়েছিলেন ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার গাড়ি! আর এবার জানা যাচ্ছে, রামপুরহাট থানার এই কনস্টেবলের অ্যাকাউন্ট থেকে ২১ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার হয়েছে বান্ধবীর অ্যাকাউন্ট। শুধু তাই নয়, রামপুরহাটের একটি লজে পার্মানেন্ট ঘরও বুক করে রেখেছিলেন মনোজিৎ বাগীশ! আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে, বীরভূমের রামপুরহাট থানার কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) দুর্নীতি দমন শাখা।
প্রথমে হাওড়া সিটি পুলিশ ও তারপর হাওড়া গ্রামীণ পুলিশে কর্মরত মনোজিৎ বর্তমানে রামপুটহাট থানায় কনস্টেবলের পদে চাকরি করছিলেন। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির তদন্তে নেমে ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় দুর্নীতি দমন শাখার।