উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা : শনিবার হরিশ মুখার্জি রোড (Harish Mukherjee Road)  হয়ে মিছিল করবেন DA-র আন্দোলনকারীরা। তার আগে ফাটল দেখা দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অন্দরে। যদিও একে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।


বকেয়া DA-র দাবিতে টানা ৯৯ দিন ধরে চলছে রাজ্য সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের একাংশের আন্দোলন। আজ শনিবার আন্দোলনের ১০০-তম দিনে আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বাড়ির সামনে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়ির এলাকা দিয়ে মিছিল করবেন আন্দোলনকারীরা। আর তার আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অন্দরে।


আদালতের থেকে অনুমতি নিয়ে শনিবার হাজরার দমকল কেন্দ্র থেকে শুরু করে হরিশ মুখার্জি রোড, ডি এন রোড, এস পি মুখার্জি রোড হয়ে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় দু-সপ্তাহ আগে, এই মহামিছিলের ডাক দেয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু পুলিশ মিছিলের অনুমতি না দেওয়ায়, জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।


হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে মিছিল করার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি, সুষ্ঠুভাবে মিছিল করার জন্য ১২ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবকের টিমও তৈরি করে আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের এই ঘোষণার পর থেকেই মতানৈক্য তৈরি হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে।


সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেছেন, 'আমাদের না জানিয়ে কেন এই কাজ করা হল, কোনও ঘটনা হলে, তার দায় কে নেবে?' যদিও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অপর অন্যতম আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেছেন, '৪০ জনের নাম জমা দেওয়া হয়েছিল, ১২ জনের নাম ঠিক করেছে আদালত। সরকারের হাত শক্ত করতেই একটি অংশ সক্রিয় হয়েছে।' সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে মিছিল ও তাদের মধ্যে ফাটল প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'এরা সব সহ সংকীর্ণ রাজনীতি করছে। কম পয়সা আছে, তার মধ্যেও তৃণমূল সরকার চেষ্টা করছে।'


আরও পড়ুন- 'সাগরদিঘিতে কে টাকা দিয়েছে আমি জানি' : মমতা, মন্তব্যে শুরু তীব্র রাজনৈতিক তরজা


মতানৈক্যের বিষয়টি জানিয়ে, শুক্রবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে চিঠি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। শুক্রবার রাত থেকেই অবস্থান মঞ্চে আসতে শুরু করেন আন্দোলনকারী সরকারী কর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা।


আরও পড়ুন: গরমের মরসুমে চুলের পাশাপাশি কীভাবে যত্ন নেবেন স্ক্যাল্পের? রইল কিছু সহজ টিপস