কলকাতা: DYFI-এর ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ থেকে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ SFI রাজ্য সম্পাদকের। লাগাম ছাড়া ফি বৃদ্ধি, মিড ডে মিলের চাল চুরি সহ একাধিক বিষয়ে কড়া ভাষায় সমালোচনা সৃজন ভট্টাচার্যের।
রাজ্য সরকারকে আক্রমণ: দুর্নীতির প্রতিবাদ ও চাকরির দাবিতে DYFI-এর ডাকে আজ ইনসাফ ব্রিগেড। ২০০৮-এর পর, প্রায় ১৫ বছর পর ব্রিগেডে সমাবেশ করছে CPM-এর যুব সংগঠন। সেই সমাবেশ থেকেই একের পর এক ইস্যুতে রাজ্যের সমালোচনায় সরব হলেন বাম ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক। এদিন সৃজন ভট্টাচার্য বলেন বলেন, "আমরা ইনসাফ চাইছি। আমরা সুবিচার চাইছি। আমাদের রাজ্যে লাগামছাড়া ফি বাড়ছে হাজার হাজার টাকা। বেসরকারিকরণ হচ্ছে একের পর এক স্কুল, কলেজ। ভয়ানক অবস্থা হস্টেলগুলোর। মৌলানা আজাদের নামে ফেলশিপ তুলে দিচ্ছি সরকার। মিড ডে মিলে শৈশব চুরি হচ্ছে। চাল চুরি হচ্ছে। ডিম চুরি হচ্ছে। আর শিক্ষকরা ধর্মতলায় বসে আছে। সাইকেলে চড়ে কোথায় যাবে? স্কুলটাই তো কেড়ে নিয়েছে। আট হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চার লক্ষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমে গিয়েছে। কলেজে হাজার হাজার সিট ফাঁকা। মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে বাইরের রাজ্যে পড়তে চলে যাচ্ছে। মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছে গোটা প্রজন্মের। শাসকদলের অন্দের তাকান, বলছে ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর, প্রবীণও চোর নবীনও চোর। অন্নদাশঙ্করের ভাষায় যে ধেরে খোকারা ভারত ভেঙে ভাগ করতে চাইছে। আমরা বাঁচতে চাই, আমরা মরতে চাই না।''
ইনসাফের দাবিতে ২২০০ কিলোমিটার পদযাত্রা করেছেন DYFI-এর নেতা-নেত্রী-কর্মী-সমর্থকরা। হাইভোল্টেজ লোকসভা ভোটের আগে, রাজ্য়জোড়া কর্মসূচিতে বিপুল সাড়া দেখে উচ্ছ্বসিত সিপিএম নেতৃত্ব। মঞ্চে জাতীয় পতাকা। রয়েছে যৌবনের ডাকে জনগণের ব্রিগেড লেখা ব্যানার। লাল-সাদা নিশানে মোড়া মাঠ। এদিন শিয়ালদা স্টেশন, হাওড়া স্টেশন, শ্য়ামবাজার, হাজরা, পার্ক সার্কাস, সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন ও সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ব্রিগেডমুখী হয় ৭টি মিছিল। SFI-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য ছাড়াও ব্রিগেডে বক্তার তালিকায় রয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, DYFI-এর রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, এবং DYFI-এর প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক আভাস রায়চৌধুরীরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Sandeshkhali Chaos: খোঁজ নেই তৃণমূল নেতার আত্মীয়দের, বাড়িতে তালা, এখনও থমথমে সন্দেশখালি