রাজা চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি : বর্ষা আসা ইস্তক দুর্যোগহীন দিন দেখেনি উত্তরবঙ্গ। একের পর এক ধসে বিপর্যস্ত হয়েছে পাহাড়। সেইএ রেশ এসে পড়েছে পাহাড় পাদদেশীয় ডুয়ার্সে। এবার ভূমিকল্প। জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন অংশ উঠল দুলে। শুক্রবার তখনও ঘুম ভাঙেনি বেশিরভাগ মানুষের। ভূমিকম্পের দুলুনিতেই আতঙ্কে বিছানা ছাড়েন অনেকে। ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
সাত সকালে জলপাইগুড়ি জেলায় ভূমিকম্প। সকাল ৬টা ৫৮ মিনিটে জলপাইগুড়ি শহর-সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় দু'সেকেন্ডের জন্য কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের তীব্রতা ছিল চার দশমিক পাঁচ। ভূমিকম্পের উৎসস্থল সিকিমে বলে জানা গিয়েছে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার নিচে ভূমিকম্প হয়েছে বলে অনুমান আবহবিদদের। এটি দার্জিলিং থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে সিকিমের রাবাংলার কাছে। রাভাঙ্গা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম দিকে ভূমিকম্পের কেন্দ্রের অবস্থান। গ্যাংটক থেকে ৩০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এই স্থল। সকাল ৬:৫৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয় বলে অনুমান আবহবিদদের।
বাঙালির প্রিয় ভ্রমণ ডেস্টিনেশন সিকিম। আর এখানে টানা দুর্যোগে পাহাড়ে মাটি আলগা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যেই আবার ভূকম্পনের ফলে আতঙ্ক বেড়েছে। এর আগে ২০১১ সালে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে কার্যত ধূলিস্যাত্ হয়ে গিয়েছিল বাঙালির প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। সিকিমে মারা যান অনেকে৷
সিকিমে বর্ষার শুরু থেকেই দুর্যোগ চলছে। প্রায় প্রতিটি নদীই উঠেছে ফুলে ফেঁপে। ভেঙেছে রাস্তাঘাট। তার রেশ এসে পড়েছে উত্তরবঙ্গের ৫ জেলাতেই। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি-ভোগান্তি চলছেই। ধসের জেরে কালিম্পঙে অগাস্টেও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ধসের জেরে গত একমাস বন্ধ ছিল শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং যাওয়ার এই জাতীয় সড়ক। অগাস্টেই আবার চালু হতে না হতেই ফের ধসে যায় একাংশ।
আটকে পড়ে বহু গাড়ি। ভারী বৃষ্টির জেরে বারবার নতুন করে ধস নেমেছে কালিম্পঙে। তার জেরে ২৯ মাইল এলাকায় রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
কালিম্পং-শিলিগুড়ি রুটে ব্যাহত হয় যান চলাচল। সিকিম যাওয়ার লাইফ লাইন দশ নম্বর জাতীয় সড়কও বন্ধ করে দিতে হয়।
আরও পড়ুন