কলকাতা: ‘রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চ্যান্সেলর পদ থেকে তাঁকে সরানোর ভাবনা। সেই পদে মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) বসানোর ভাবনা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সাংবিধানিক ও আইনি দিক", ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu)। আরও একধাপ শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, ইডি-সিবিআই-এর পর এবার ইউজিসি-কে দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
আজ ব্রাত্য বসু বলেন, ‘যদি দিনের পর দিন এভাবে ফাইল ফেলে আটকে রাখেন, বিন্দুমাত্র সহযোগিতার মনোভাব না দেখান, তাহলে কেরলের রাজ্যপাল যেটা বলেছেন, অন্তবর্তী সময়ের জন্য চ্যান্সেলর পদে আমরা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসতে পারি কি না, সেটা খতিয়ে দেখব। উনি যদি শিক্ষার সঙ্গে জড়িত কোনও কাজ না করে শুধু ট্যুইট করা আর ফেসবুকে যাওয়া করেন, তাহলে আমরা সেটা গ্রহণ করছি না। উনি তো সহযোগিতার রাস্তায় আসবেন। ওঁর পদের যে কাজ, সেটা উনি ভুলে যাচ্ছেন। অতীতে কোনও রাজ্যপালের সময় এরকম হয়নি। কেরলের রাজ্যপাল কিছুদিন আগে এরকম কথাই বলেছেন। আমরা তাঁর কথার পুনরাবৃত্তি করছি মাত্র। কোনও রাজ্যপাল যখন তাঁর রাজ্যের ক্ষেত্রে এই কথা বলছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সব রাজ্যেই সেটা হতে পারে।’
এর আগে আজ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল। ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শিক্ষা ব্যবস্থার ছবিটা ভয়াবহ। রাজ্যের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আচার্য এবং উপাচার্য রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে এলেন না। শিক্ষাক্ষেত্রে দলবাজি চলছে।’
সম্প্রতি রাজ্যের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং উপাচার্যকে রাজভবনে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তাঁরা যাননি। এরপরেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও উপাচার্যরা রাজ্যপালের বৈঠকে আসছেন না। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনা হয়েছিল ২০২০ সালের জানুয়ারিতেও। তখন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা রাজভবনের বৈঠকে আসেননি। এটা খুবই উদ্বেগজনক। আচার্যকে উপেক্ষা করে, রাজ্য সরকার উপাচার্যদের নিয়োগ করছে। এ’নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব। এগুলি নিয়ে ইউজিসি-কে তদন্ত করতে বলব। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম হচ্ছে। তা নিয়ে তদন্ত দরকার। এটা সরকারের হাতে রাখালে চলবে না। আইন অনুযায়ী করতে হবে।’
পাল্টা রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।