উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : শনিবার ৯২৩ দিনে পড়ল নবম থেকে দ্বাদশের SLST- চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন (Job Aspirants Agitation)। এদিন তাঁদের আন্দোলনস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে তৃণমূলের (TMC) শিক্ষা সেলের একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্যারিকেডে ঘেরা চাকরিপ্রার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে তাঁর কাছে আর্জি জানালেন, স্যর একবার আমাদের মঞ্চে আসুন। যেদিন নিয়োগ শুরু হবে, সেদিন আমি সবার আগে আসব, বললেন ব্রাত্য বসু। 


একদিন, দু'দিন করে পেরিয়ে গেছে ৯২৩ টা দিন। প্রতিশ্রুতি মিললেও, মেলেনি চাকরি। SLST চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, যেন আক্ষরিক অর্থেই পথে বসেছেন তাঁরা। চাকরির দাবিতে ৯২৩ দিন ধরে যেখানে এরা প্ল্যাকার্ড হাতে বসে আছেন, শনিবার তার থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে তৃণমূলের শিক্ষা সেলের একটি কর্মসূচি ছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য়ের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। কড়া নিরাপত্তার জন্য আগেভাগেই ব্য়ারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয় আন্দোলনরত SLST চাকরিপ্রার্থীদের। 


শিক্ষামন্ত্রীর কাছাকাছি যেতে না পেলেও, চাকরিপ্রার্থীদের হাতে থাকা প্ল্য়াকার্ডে এদিন তাঁর উদ্দেশে লেখা ছিল, স্যর একবার আমাদের মঞ্চে আসুন। যার উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, যেদিন নিয়োগ শুরু হবে। সেদিন আসব সবার আগে।


২০১৬ সালের নভেম্বরে SSC-র SLST পরীক্ষা হয়। এক বছর পর ২০১৭-র নভেম্বরে পরীক্ষার ফল বেরোয়। এরপর ধাপে ধাপে সফল পরীক্ষার্থীদের ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউয়ের প্রক্রিয়া শেষ হয়। এই পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও, গোল বাধে এর পরেই! আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০১৮ সালের মার্চে নবম-দশম এবং নভেম্বরে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করা হয়।                                                            


আর সেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। আন্দোলনকারী তথা ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। প্রথম দফায় ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ দিলেও, দ্বিতীয় দফায় যাঁরা ইন্টারভিউ দিয়েছেন, তাঁদের চাকরি আগে হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকেই শুরু হয় আন্দোলন। পেরিয়ে গেছে ৯২৩টা দিন !         


        


আরও পড়ুন- 'বড় বড় চুক্তি হয়েছে' লগ্নির খোঁজে স্পেন, দুবাই সফর সেরে ফিরে বললেন মুখ্যমন্ত্রী


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial