কলকাতা: অনবরত বৃষ্টির জেরে প্লাবিত ঘাটাল। ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। এই আবহে এদিন ঘাটালে যান দেব। তাঁর দাবি, 'ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বেশিরভাগ কাজই প্রায় শেষ। এই প্রকল্প সাধারণ মানুষের জন্য। মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেটা দেখেই জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।'

Continues below advertisement

বছর আসে বছর যায়, কিন্তু ঘাটালের পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় না। বর্ষা এলেই প্রতিবছর একই ছবি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে। আর এরই মধ্যে ফের উঠল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রসঙ্গ। বন্যা কবলিত ঘাটালে এদিন যান সাংসদ দেব। বুধবার SDO অফিসে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, স্বাস্থ্যসচিব ও উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ দেব। বৈঠক শেষে এদিন দেব বলেন, "ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য অনুমোদনও হয়েছে। অনেকগুলো স্যুইজ় গেট সংস্কারের কাজ চলছে। অনেকগুলো হয়ে গেছে। প্রথম দফার কাজ এই মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সবথেকে বড় হচ্ছে জমি অধিগ্রহণের কাজ। যতটা কম জমি নিয়ে এটা করা যায় সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন ডিজাইনে ৪০ শতাংশ কম জমি লাগছে। ঘাটাল মাস্টার সরকারের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্য। মানুষ যেন শান্তিতে থাকতে পারে। ১৯ জুন থেকে সবাই জলের মধ্যে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। কাজটা শুরু হলেই তিন বছরের মধ্যে শেষ হবে।''

বছর বছর বন্যায় ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয় পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘর-দোর থেকে জমির ফসল, সব ভাসিয়ে নিয়ে যায় বেনোজল। গতবছর লোকসভা ভোটের আগে হুগলির আরামবাগের সভায় দেবকে পাশে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আশ্বাস দিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের টাকায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "ঘাটাল মাস্টার প্ল্য়ানের কথা দেব আমাকে বলেছে। দেব যখন আমার কাছে আবদার করেছে, দিদি ভাইকে তো ফেরাতে পারে না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্য়ান আমরা তৈরি করছি।''

Continues below advertisement

দেবের সফরের আগে ঘাটালজুড়ে পোস্টার সাঁটায় বিজেপি। পোস্টারে সাংসদ দেব ও সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে ঠগবাজ বলে আক্রমণ শানিয়েছে গেরুয়া শিবির। কেন বানভাসি ঘাটালের মানুষের পাশে দেখা গেল না সাংসদকে? সে প্রশ্ন তুলে সেচমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলা হয়েছে বিজেপির তরফে। ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, "ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের নাম করে ঘাটালবাসীকে উচ্ছেদ করার প্ল্যান করছে। আমরা পোস্টারিং করেছি এবং এই ঢপবাজ সাংসদকে জানতে চেয়েছি যে এবছর প্রায় ৩বার বন্যা হয়েছে, ৪ বারের বন্যায় পড়েছে। আপনি একবারও মানুষের পাশে এলেন না, খোঁজ নিলেন না?''