কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : করোনাকালে (Corona Pandemic) এবার পাড়ায় পাড়ায় স্কুল কচিকাঁচাদের। এবার প্রাথমিক স্তরে (Primary Education) নতুন প্রকল্প আনছে রাজ্য (West Bengal Government)। নতুন যে প্রকল্পের নাম ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ (Paraye Sikhhaloy)। আগামী সোমবার সরকারিভাবে প্রকল্পের ঘোষণা করবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu)। করোনাকালে প্রায় ২ বছর বন্ধ প্রাথমিকের পঠনপাঠন। ক্লাসরুমের (Class Room) বন্দ গণ্ডিতে কচিকাঁচাদের ক্লাস নেওয়া বিপদ্দজনক হতে পারে বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসকরা (Doctors)। সেই কথা মাথায় রেখেই খোলা জায়গায় (Open Air Spaces) নেওয়া হবে পড়ুয়াদের ক্লাস। 


সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্পে পড়ুয়াদের পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ক্লাস নেবেন স্কুলের শিক্ষক (Teachers), পার্শ্বশিক্ষক (Para Teachers), শিক্ষা সহায়করা। জানা যাচ্ছে, প্রায় ৮০ লক্ষ প্রাথমিক পড়ুয়ার জন্য এই প্রকল্প। এই মুহূর্তে শুধুমাত্র প্রাথমিক স্তরে ভাবনা রাজ্য সরকারের। করোনা আবহে যেহেতু প্রায় ২ বছর স্কুল বন্ধ, তাই ছোটদের বিকল্প ক্লাসের ভাবনা বলেই শিক্ষা দফতর (Education Department) সূত্রের খবর।


করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ জায়গাতেই পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটেছে। পঠন-পাঠন আপাতত অনলাইনে (Online Classes) চললেও প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়ারা অনলাইনে পড়াশোনার সঙ্গে কতটা খাপ খাইয়ে নিতে পারছে, সে নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে। এই অবস্থাতেই প্রি-প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের পঠনপাঠনের রাস্তা খুলতেই রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ। মূলত, ৪ থেকে ৯ বছর বয়সী পড়ুয়াদের শিক্ষাদানই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।


কচিকাঁচাদের অনলাইনে পড়াশোনার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে যেমন সমস্যা তেমনই প্রান্তিক পরিবারের অনেক পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাসের সুবিধা নেওয়াটা কিছুটা আর্থিকভাবেও সমস্যার। একদিকে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ, অন্যদিকে অনলাইন পড়াশোনার ক্ষেত্রে  একাধিক সমস্যার কথা মাথায় রেখেই কচিকাঁচাদের যাতে পড়াশোনায় ফের গতি আনা যায়, সেই লক্ষ্যেই পাড়ায় শিক্ষালয়ের পদক্ষেপ।


আরও পড়ুন- শৈশব বাঁচাতে স্কুল খোলা হোক, দাবি শুভেন্দুর; ‘শিক্ষায় সবার অধিকার থাকছে না’, সরব অধীরও


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI