সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ডিএ মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রাজ্য। ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ (DA) মেটাতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট (High Court)। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ফের হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench) যায় রাজ্য। পুনর্বিবেচনার সেই আর্জিও খারিজ করে দেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। তারপরই আজ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার (State Government)।
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যা ডিএ দেওয়ার তা দিয়ে দেওয়া হয়েছেস এটা অপ্রত্যাশিত খরচ বলে জানিয়েছে রাজ্য। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য সরকার। সেই আশঙ্কা করে আগে থেকেই ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছিলেন কর্মীরা। তবে কর্মীদের আশা সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা বেশিদিন টিকবে না।
কী বলছে কর্মী সংগঠন:
কনফেডারেশন অফ গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা চিঠি পেয়েছি। প্রস্তুতি চলছে। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ফলে আমরা আরও শক্তিশালী নির্দেশনামা পাব বলে আশাবাদী।'
তোপ বিরোধী দলনেতার:
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'ডিএ অধিকার। কয়েক কোটি খরচ করে সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্য সময় নষ্ট করছে। টাকা দিতে পারবে না, একেবারে দেউলিয়া সরকার।'
ডিএ দেওয়া হলে কতজন উপকৃত হবে?
স্যাট থেকে সিঙ্গল বেঞ্চ হয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গড়িয়েছে ডিএ মামলা। এবার গেল সুপ্রিম কোর্টে। পরিসংখ্যান বলছে, ডিএ দেওয়া হলে রাজ্য সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মিলিয়ে ৬ লক্ষের বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। আর উল্টোদিকে বর্ধিত হারে ডিএ দিতে রাজ্য সরকারের প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। সরকারি কর্মচারীরা বলেছিলেন, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রায়ের মধ্যে দিয়ে পুজোর উপহার দিয়ে দিয়েছে। এবার রাজ্য সরকার বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিক। কিন্তু তা হয়নি। এবার সুপ্রিম কোর্টে ফের চলবে আইনি লড়াই।
কোথায় কত ডিএ:
কেরল ৩৬ শতাংশ তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশে ৩৪ শতাংশ হারে উত্তরপ্রদেশে ৩১ শতাংশ হারে সরকারি কর্মীচারীরা DA পান। মহারাষ্ট্রে ৩৪। ছত্তীসগঢ় ও ঝাড়খণ্ডে ২৮। কর্ণাটকে ২৭.২৫। অন্ধ্রপ্রদেশে ৩৮। হরিয়ানায় ২৮ শতাংশ হারে DA দেওয়া হয়। পড়শি রাজ্য ওড়িশায় ৩৪ শতাংশ হিমাচল প্রদেশ ৩১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ‘সিদ্ধান্ত হয়েই গিয়েছে, পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য শুধু সময়ের অপেক্ষা’, নিশীথ সাক্ষাতের পর অনন্ত মহারাজ