কলকাতা: ধর্মতলায় শহিদ মিনার চত্বর থেকে আচমকা DA ধর্নামঞ্চ (DA Agitation) খোলা নিয়ে বিতর্ক। আপতত স্থগিত করা হল মঞ্চ খোলার কাজ। DA-আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গতকাল সেনাবাহিনী এসে সরে যেতে বলে। রাজ্য সরকারের চাপেই এই কাজ বলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অভিযোগ। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


DA ধর্নামঞ্চ খোলা নিয়ে বিতর্ক: ৩৭৮ দিন ধরে চলছে ধর্না। ১৬ দিন ধরে অনশন। লোকসভা ভোটের আগে, বকেয়া DA -র দাবিতে ক্রমশ আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াচ্ছে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। এরই মধ্যে শহিদ মিনার চত্বর থেকে ধর্নামঞ্চ নিয়ে খোলা চলল বিতর্ক। রবিবার সকালে আচমকা খুলতে শুরু করা হয় সংগ্রামী যৌথমঞ্চের ধর্নামঞ্চ। দুপুর গড়ানোর পর স্থগিত হয়ে যায় সেই কাজ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী রেড রোডে ধর্নায় বসার জন্য আগেই DA-আন্দোলনকারীদের ধর্না তুলে নিতে বলা হয় পুলিশের তরফে। এরপরেও তারা ধর্না চালিয়ে যাচ্ছিল। আর রবিবার সেই মঞ্চ খোলা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক।


কী অভিযোগ?


DA-আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শনিবার সেনাবাহিনী এসে সরে যেতে বলে। রাজ্য সরকারের চাপেই এই কাজ বলেও অভিযোগ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। সংগঠনের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “রাজ্য সরকার আর্মির ওপর চাপ দিয়েছে, মানে, যেহেতু ওনারা ওখানে বসে আছেন, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বাকি মঞ্চগুলো তুলে দিতে পারল, আমাদেরকে কিছু করতে পারেননি। ওনার বুকে বাঁধছিল এবং মঞ্চটাকে নিয়ে দীর্ঘদিন উনি অসুবিধার মধ্যে আছেন, তাই তোলার জন্য তৎপর হয়েছেন। আর্মি এসে বলেছে তুলে দিতে হবে। আর্মির কোনও ভূমিকা নেই এখানে, সম্পূর্ণরূপে কলকাতা পুলিশের গুটিকয়েক কর্মকর্তা এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনাতে এসব হয়েছে।’’

এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিএ-র ফারাক ৩৬ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ পান। আর রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা পান ১০ শতাংশ হারে ডিএ। নেপথ্যে রাজ্য সরকারের ইন্ধন, অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। আদালতের অনুমতিতে বকেয়া DA-এর দাবিতে ধর্না দিচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তা সত্ত্বেও কেন ধর্না মঞ্চ খোলার চেষ্টা, তা নিয়ে সোমবার হাইকোর্ট দ্বারস্থ হচ্ছে তারা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: North Bengal Weather: ফের নামবে পারদ, উত্তরের একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস