কলকাতা: সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল ঘটল। রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব হলেন বি পি গোপালিকা। রাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব হলেন নন্দিনী চক্রবর্তী। এর আগে, বি পি গোপালিকা ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। নন্দিনী চক্রবর্তী ছিলেন পর্যটন দফতরের প্রধান সচিবের পদে। তারও আগে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সচিব ছিলেন নন্দিনী। তাঁকে স্বারষ্ট্রসচিব করা হল এবার। (WB New Chief Secretary)


১৯৮৯ ব্যাচের আইএএস অফিসার গোপালিকা। হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর জায়গায় তাঁকে নিযুক্ত করা হল। ৩১ ডিসেম্বরই মেয়াদ শেষ হরিকৃষ্ণের। সেই দিনই রাজ্যের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে গোপালিকার নিযুক্তির কথা জানানো হল। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানা গিয়েছে। এর আগে, রাজ্যের পরিবহণ, প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক সংস্কার বিভাগের সচিব ছিলেন গোপালিকা। স্বরাষ্ট্রসচিবও ছিলেন। তাঁকে এবার মুখ্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হল। (West Bengal Government)


আপাতত যা খবর পাওয়া গিয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মুখ্যসচিবের পদে থাকবেন গোপালিকা। তার পর তাঁর মেয়াদ বাড়ানোও হতে পারে, যেমন এ বছর জুনেই কার্যকালের মেয়াদ ছ'মাসের জন্য বাড়ানো হয় দ্বিবেদীর। বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন চলাকালীনই এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি ছিল, আরও ছ'মাসের জন্য দ্বিবেদীর কার্যকালের মেয়াদ বাড়াতে চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু কেন্দ্র অনুমোদন দেয়নি।


আরও পড়ুন: WB State Day: পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস! রাজ্য সঙ্গীত নিয়েও নয়া নির্দেশিকা


নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকে নিয়োগ করা হবে, সেই নিয়ে বিগত কয়েক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে নন্দিনীকেই নিয়োগ করা হয়। পাশাপাশি পাহাড় সংক্রান্ত বিষয়ের প্রধান সচিবও হলেন তিনি। পর্যটন দফতরের প্রধান সচিব হিসেবেও আগের মতোই কাজ চালিয়ে যাবেন। মোদিনীপুর ডিভিশনের অতিরিক্ত কমিশনারের দায়িত্বও আগে থেকেই রয়েছে নন্দিনীর হাতে।


১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার নন্দিনী। বাম আমলেও রাজ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। তৃণমূলের আমলেও তার অন্যথা হয়নি। সিভি আনন্দ বোস বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর রাজভবনেও গুরুত্বপূর্ণ পদ পান নন্দিনী। রাজ্যপালের প্রধান সচিব হন। কিন্তু রাজ্যপালের প্রতীকী হাতেখড়ি থেকে নবান্নের সঙ্গে উপহার বিনিময়, পর পর ঘটনাক্রমে তাঁর দিকে আঙুল তোলেন রাজ্য বিজেপি-র নেতারা। নন্দিনী রাজ্যপালকে ভুল বোঝাচ্ছেন বলেও দাবি করা হয়। তার পরই নন্দিনীকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল।