দীপক ঘোষ, কলকাতা: এবার পয়লা বৈশাখকে বাংলা দিবস হিসেবে ঘোষণা রাজ্য সরকারের। নির্দেশিকা জারি রাজ্য সরকারের। ঘোষণা করা হল রাজ্যের নতুন সঙ্গীতও। রবীন্দ্রনাথের বাংলার মাটি, বাংলার জল গানকে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই গান গাইতে হবে রাজ্য সরকারের সমস্ত অনুষ্ঠানে।


কী নিয়ম?
এবার থেকে রাজ্য সঙ্গীতের পর গাইতে হবে জাতীয় সঙ্গীত।
রাজ্য সঙ্গীত দাঁড়িয়ে গাওয়া বাধ্যতামূলক।


এতদিন রাজ্য সঙ্গীত ছিল না। এর আগেই একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল রাজ্য সঙ্গীত ঠিক করা হবে। রাজ্য দিবস নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।


পয়লা বৈশাখকে রাজ্য দিবস করা নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছিল। বিরোধীদের একটি অংশের দাবি ছিল, ২০ জুন যে বাংলা দিবস করা হয়। সেই দাবি মানতে চায়নি রাজ্য সরকার। সেই আবহেই এর আগে ২০ জুন দিনটিকে রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পালন করেছেন রাজ্যপাল। যদিও রাজ্যের তরফে কখনও ২০ জুন তারিখটিকে রাজ্য দিবস হিসেবে মান্যতা দেওয়ার কথা ভাবা হয়নি। তা নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজার জলও গড়িয়েছিল বহুদূর পর্যন্ত। 


তারপরেও নির্দেশিকায় দেখা গেল পয়লা বৈশাখকেই রাজ্য দিবস হিসেবে পালনের জন্য সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। 
 
গানটিতে একটু পরিবর্তন করা হয়েছিল, তা নিয়েও তুমুল সমালোচনা হয়েছিল। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবে পরিবর্তিত ভার্সনটাই গাওয়া হয়েছিল, তখন তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। এদিন যে নির্দেশিকা বেরোল সেখানে অবশ্য দেখা গেল রবীন্দ্রসঙ্গীতে কোনওরকম পরিবর্তন ছাড়াই রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। অর্থাৎ আগে গান নিয়ে যে প্রবল সমালোচনা হয়েছিল তাতে পিছু হটেছে রাজ্য প্রশাসন।


বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, এটা চরম ধর্মীয় মৌলবাদের কাছে আত্মসমর্পণের প্রচেষ্টা মাত্র। এর আগে একটি স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া নিয়ে প্রবল সমস্যা হয়েছিল, সেই কথা স্মরণ করিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'সামনে লোকসভা নির্বাচন, ওই অংশের যাতে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে না হয় তার জন্যই রাজ্য সঙ্গীত আনা হল।'
  
মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি স্থগিত:
নতুন বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক কর্মসূচি স্থগিত। ২ জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি স্থগিত। পিছিয়ে গেল ৩ জানুয়ারির গঙ্গাসাগর সফর। ৪ জানুয়ারি জয়নগরের সভাও আপাতত স্থগিত।


আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে কী শিক্ষা পেয়েছেন? সোশ্য়াল মিডিয়ায় জানালেন অনুপম