কলকাতা : বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪৮৬ টি নতুন পদ তৈরির সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে। নবান্ন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত দফতরে নিয়োগ হবে নতুন ৪৩৭ টি পদে। নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরে ৩টি পদে। স্বাস্থ্য দফতরে ৫টি পদে, স্বরাষ্ট্র দফতরে ৪০ এবং অর্থ দফতরে ১টি নতুন পদে নিয়োগ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)বলেছিলেন , ' রাজ্য সরকারের (state government)চাকরিতে বাংলার স্থায়ী বাসিন্দা ও যারা বাংলা জানে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। '
বুধবারই রাজ্যে সরকারী চাকরি (Government Job) পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলা ভাষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ভাবনার কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশপাশি, রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়াতে সাইকেল কারখানা তৈরির কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওঠে সেই প্রসঙ্গ। পাশাপাশি, নবান্ন সূত্রে খবর, জওয়াদের প্রভাবে প্রায় ৪ লক্ষ হেক্টর কৃষি জমি নষ্ট হয়েছে। এদিন মমতা (Mamata Banerjee) আরও বলেন, “যেখানে যে কারখানা হবে, সেখানে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার। রাজ্যে সরকারি চাকরি পেতে গেলে বাংলা ভাষা জানা জরুরি। ভিনরাজ্যের কেউ বাংলা না জেনে চাকরি পেলে ভাষাগত সমস্যা হয়।’’ তাঁর কথায়, “সব রাজ্যের জন্য বলছি সেই রাজ্যে ছেলেমেয়েদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। বাংলা হলে বাংলা। যে ভাষাভাষি হোক না কেন আপত্তি নেই। বাংলা ভাষা জানতে হবে। কেউ কোনও সমস্যা নিয়ে BDO, SDO বা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে যাচ্ছে, না পারছে চিঠি পড়তে, না পারছে উত্তর দিতে। স্থানীয় ভাষা জানা বাধ্যতামূলক। স্থানীয় ভাষা না জানলে সমস্যার সমাধান করবে কী করে।’’
আরও পড়ুন :
‘দুয়ারে সরকারের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে’, দিন ঘোষণা মমতার
মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার আরও একটি বিষয়ে কড়া বার্তা দেন। বুঝিয়ে দেন, পুরভোটে দলে প্রার্থী অসন্তোষ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। নদিয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি স্পষ্ট বলে দিলেন, ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এক ব্যক্তি একই পদ আঁকড়ে চিরদিন থাকতে পারবেন না। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Maitra )নাম করে গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে কড়া বার্তা দিলেন মমতা। মহুয়ার নাম করে মমতা বলেন, ‘মহুয়া, এখানে আমি একটা স্পষ্ট মেসেজ দিতে চাই। কে কার পক্ষে বিপক্ষে আমার দেখার দরকার নেই। আমি সাজিয়ে-গুছিয়ে কিছু লোক পাঠিয়ে ইউটিউব অথবা ডিজিটাল অথবা পেপারকে দিয়ে দিলাম। এই রাজনীতি একদিন চলতে পারে, চিরদিন নয়। আর একই লোক এক জায়গায় চিরদিন থাকবে, সেটা মেনে নেওয়াটা ঠিক নয়। যখন ইলেকশন হবে পার্টি ডিসাইড করবে কে দাঁড়াবে। সুতরাং সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এটা আমি বলে গেলাম।’