কলকাতা: সংসদের বিশেষ অধিবেশন ঘিরে জল্পনা-তরজা জারি। তার মধ্যেই রাজ্য বিধানসভায় নয়া প্রস্তাব আনতে চলেছে রাজ্যের তৃণমূল (TMC) সরকার। পয়লা বৈশাখের দিনটিকে বাংলা দিবস হিসেবে পালন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'বাংলার মাটি বাংলার জল' গানটিকে রাজ্য সঙ্গীত করার প্রস্তাব আনতে চলেছে তারা। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় উঠছে এই প্রস্তাব। (West Bengal Government)
এই দু'টি বিষয় নিয়ে আজ বিধানসভায় প্রস্তাব আনা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে। সেই নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও (Suvendu Adhikari)। যেহেতু সরকারপক্ষের পর্যাপ্ত সংখ্যা রয়েছে, তাই দুটি বিষয়ই বিধানসভায় পাস হয়ে যাওয়ার কথা। এ নিয়ে বিজেপি-র কী অবস্থান, তা জানতে মুখিয়ে সকলে।
বৃহস্পতিবার দুপুর একটা থেকে বিধানসভার কার্যক্রম শুরু হবে। সেখানেই এই দুই প্রস্তাব তুলে ধরবে তৃণমূল সরকার। বিধানসভার ১৬৯ ধারা অনুযায়ী এই প্রস্তাব আনা হচ্ছে। ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রি ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ রাজ্যের ১১ জন মন্ত্রী এই প্রস্তাব আনতে চলেছেন। এমনিতে রাজ্য বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে তৃণমূলের। তাই প্রস্তাব পাস হওয়া দুষ্কর নয় একেবারেই।
আরও পড়ুন: Girish Park: গিরীশ পার্ক মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টা, বন্ধ মেট্রো চলাচল
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের এই প্রস্তাবের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন শুভেন্দু। ট্যুইটারে(অধুনা X) তিনি লেখেন, 'বিজেপি-র ৬০ জন বিধায়ককে নিয়ে আজ দুপুর ৩টেয় বিধানসভা থেকে রাজভবনে স্মারকলিপি জমা দিতে যাব আমি। রাজ্যপালকে জানাব, বাংলার সরকার এ রাজ্যের ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ১৯৪৭ সালের ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তৈরির ঐতিহাসিক মুহূর্তকে অস্বীকার করছে। বাঙালি হিন্দুদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটির পত্তনে ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদান মুছে ফেলার এবং ইতিহাস মুছে ফেলার এই অসৎ উদ্দেশ্যের তীব্র বিরোধিতা করবে বিজেপি'।
'এক দেশ, এক নির্বাচন' নীতি কার্যকর করা থেকে দেশের নাম শুধু ভারত করা নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সেই মর্মে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার বিল আনতে চলেছে বলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তৃণমূলও ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সেই আবহেই রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করতে চলেছে তারা।