কলকাতা: রাজভবনে ফের রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রী বৈঠক। সোম ও মঙ্গলবারের পর আজ ফের ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করলেন আনন্দ বোস। গত ২ দফা বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর ইস্তফা গ্রহণ করলেন রাজ্যপাল। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর ইস্তফা। ইস্তফা দিয়েছেন যাদবপুর, বাঁকুড়া ও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। যদিও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩ মাস দায়িত্ব সামলাবেন ইস্তফা দেওয়া ৬ উপাচার্যই।


অন্যদিকে, মঙ্গলবার উপাচার্যদের নিয়োগ ইস্য়ুতে, জট কাটালেন রাজ্য়পাল অর্থাৎ আচার্যই (CV Ananda Bose)। কার্যত রাজভবনের শর্তে উপাচার্য নিয়োগের পথে হাঁটল রাজ্য় সরকার। মঙ্গলবার রাজ্য়পালের কাছে গিয়ে পদত্য়াগের পরই তিন মাস করে মেয়াদ বাড়ল ছয়টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্যর। পাশাপাশি উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে, UGC'র প্রতিনিধিকে ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রীও।                                                                                                                                                                               


আরও পড়ুন: DA Protests: 'পাঁচ বছর অন্তর ভিক্ষা চাইতে হয়, না পারলে চেয়ার ছাড়ুন', ফিরহাদকে পাল্টা DA আন্দোলনকারীদের


এর আগে, জগদীপ ধনকড় রাজ্য়পাল থাকাকালীন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য় সরকারের সঙ্গে তাঁর সংঘাত বেধেছিল। বেশ কিছু উপাচার্যের নিয়োগ, আচার্যর অনুমোদন ছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রেও নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে।


তৎকালীন রাজ্যপালের কাছে এ ব্যাপারে প্রস্তাব গেলে তিনি রাজ্য প্রশাসনের কাছে কিছু ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য তার জবাব না-দিয়েই পর দিন থেকে সোনালিকে চার বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ করে। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে ওই পদ থেকে সরে যেতে হলেও, বাকি বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলির ক্ষেত্রে সমস্য়া থেকেই গেছিল। এর মধ্য়ে ১০ জন উপাচার্যর মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। ফলে মূল প্রশাসনিক কাজে ব্য়াঘাত ঘটতে শুরু করে। মঙ্গলবার সেই জট কাটে।