কলকাতা: বাংলার দায়িত্ব হাতে পেয়েই কলকাতার সঙ্গে নিবিড় সংযোগের কথা তুলে ধরেছিলেন (Kolkata News)।  আউড়েছিলেন কবিগুরুর ‘চিত্ত যে ভয়শূন্য’ কবিতা। এ বার মুক্তকণ্ঠে বাংলা প্রশংসা করলেন নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। জানালেন, গোটা দেশ, এমনকি গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বাংলার (West Bengal)।


মুক্তকণ্ঠে বাংলা প্রশংসা করলেন নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস


শহরে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন রাজ্যপাল। সেখানেই বাংলার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, “গোটা দেশকে নেতৃত্ব দেবে বাংলা। নেতৃত্ব দেবে গোটা বিশ্বকে। বাংলার সেই ক্ষমতা রয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পথ দেখাতে পারে বাংলাই।”


নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের ১৫০ বছর পূর্তিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। সেখানেই প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন রাজ্যপাল। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন, স্বাস্থ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য দফতরের অন্য আধিকারিকরাও। রাজ্যপালের মন্তব্যকে স্বাগত জানিছেন তাঁরা।



আরও পড়ুন: SSC: অবশেষে প্রকাশ্যে এল অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা, ১৮৩ জনের নাম প্রকাশ


প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে আগাগোড়া সংঘাত লেগেছিল রাজ্যের। তাই উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁকে সমর্থন জানানোর নেপথ্যে আসলে ধনকড়কে বাংলা থেকে সরানোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের লক্ষ্য ছিল বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ধনকড়ের পর সম্প্রতিই স্থায়ী ভাবে বাংলার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন আনন্দ। এখনও পর্যন্ত শাসকদলের সঙ্গে সুসম্পর্কই রয়েছে তাঁর।


বাংলার সঙ্গে নিবিড় সংযোগও রয়েছে আনন্দের, গোড়াতেই জানিয়েছিলেন


শুধু তাই নয়, বাংলার সঙ্গে নিবিড় সংযোগও রয়েছে আনন্দের। তিনি জানিয়েছেন, জীবনের প্রথম চাকরি করতে কলকাতাতেই ঠাঁই নিয়েছিলেন তিনি। এখানকার মানুষ, এখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে সমৃদ্ধ হয়েছিলেন। বাংলার সঙ্গে সংযোগ বোঝাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য’ কবিতাও শুনিয়েছিলেন মুখস্থ। যতদিন বাংলায় থাকবেন, বাংলা সাহিত্য আরও বেশি করে পড়বেন, রোজ ভাষা শিখবেন বলেও জানান তিনি।


রাজ্য সরকারের তরফেও আনন্দের সঙ্গে সুসম্পর্কই রাখা হচ্ছে। তিনি দায়িত্বগ্রহণের পর নীল হাঁড়িতে তাঁকে সাদা রসগোল্লা পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’টি হাঁড়িতে ৫০টি করে মোট ১০০টি রসগোল্লা পাঠানো হয়। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে মিষ্টি পাঠাতে বরাত দেওয়া হয়েছিল ধর্মতলার বিখ্যাত দোকানকে। 


যদিও তা নিয়ে রাজ্যকে কটাক্ষও করেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "মিষ্টি খাইয়ে লাভ নেই। বিদ্বান, দূরদর্শী রাজ্যপালের অভিজ্ঞতা সরকার কাজে লাগালে রাজ্যের ভাল হবে।"