কলকাতা: রাজ্য সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আজ তিনি ট্যুইটারে লেখেন, ‘উপদেষ্টা নিয়োগের পদ্ধতি ও নিয়ম সম্পর্কে মুখ্যসচিবকে বিস্তারিত জানাতে বলেছি। বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ এসেছে যে, উপদেষ্টা নিয়োগের প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ। সেইসঙ্গে স্বজনপোষণের মতো গুরুতর অভিযোগও তোলা হয়েছে।’


রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ নতুন নয়। বিভিন্ন ইস্য়ুতে নিয়মিত রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন রাজ্যপাল। এ নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও প্রায়ই হয়। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘রাজ্যের বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনার ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।’ পাল্টা শিক্ষামন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রাজ্যপাল বলেন, ‘আপনি মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্যের পাশাপাশি রাজ্যপাল বানিয়ে দিন। তবে হয়তো আপনি শান্তি পাবেন।’ শিক্ষামন্ত্রী আবার রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমার মুখ্যমন্ত্রীর বয়ে গেছে রাজ্যপাল হতে। রাজ্যপাল নিজে সিলেক্টেড, আর মুখ্যমন্ত্রী ইলেকটেড।’


সম্প্রতি রাজ্যের ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্যকে ডেকে পাঠান আচার্য তথা রাজ্যপাল। কিন্তু, তাঁর আহ্বানে উপাচার্যরা সাড়া দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করে তিনি কাঠগড়ায় তোলেন রাজ্য সরকারকে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কার হওয়া উচিত? রাজ্যপাল না মুখ্যমন্ত্রীর? না কি কোনও শিক্ষাবিদের? এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই চরমে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত। যথারীতি এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয় তর্কযুদ্ধ। কেরলের রাজ্যপালের উদাহরণ টেনে জগদীপ ধনকড়ের সমালোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দিনের পর দিন ফাইল ধরে রাখেন। বিন্দুমাত্র সহযোগিতার মনোভাব যদি না দেখান, কেরলের রাজ্যপাল যেটা বলেছেন, আমরা বিচার করে দেখব। আলোচনা করে দেখব। দরকার হলে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেব, যে অন্তত অন্তবর্তী সময়ের জন্য আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনতে পারি কি না।’


শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের জবাব দিয়েই থামেননি রাজ্যপাল। তাঁর অনুমতি ছাড়াই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জগদীপ ধনকড়।