কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: আগেও বহুবার অভিযোগের কাঠগোড়ায় দাঁড়িয়েছে রাজ্যের হাসপাতাল। কখনও সাধারণ মানুষ, কখনও আবার রাজ্যের নেতারাই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।  আর এবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো নিয়ে ফের 'অবাক' খোদ রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। 'এতবড় হাসপাতাল রাতে এক্স-রে হয় না, আমার জানা ছিল না', চিকিৎসা করাতে এসে 'অবাক' খোদ রাজ্যের  মন্ত্রীই। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের মধ্যেই খোদ মন্ত্রীর এই মন্তব্যে জেলা জুড়ে শোরগোল।


শৌচাগার যেতে গিয়ে আহত রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী


ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। সকালে শৌচাগার থেকে বেরিয়ে পড়ে গিয়ে আহত হন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর ডান পায়ের কনিষ্ঠ আঙুলে চোট লাগে। সন্ধ্যা হতেই ব্যাথা ক্রমশ বাড়তে থাকায়, তিনি চিকিৎসার জন্য যান মেমারী গ্রামীণ হাসপাতালে।সেখানে চিকিৎসক দেখার পর জানান, 'এক্স-রে করার প্রয়োজন আছে।'এরপর মন্ত্রী এক্স-রে  করার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই হাসপাতালের তরফে তিনি জানতে পারেন হাসপাতালে ওপিডি চলাকালীন সময় এক্স-রে হলেও, রাতে এক্স-রে করার কোনও ব্যবস্থা নেই।


'এত বড় হাসপাতাল রাতে এক্স-রে হয় না !'


এরপরই তিনি গাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেই জানান, 'এতবড় হাসপাতালে ওপিডি এর পড়ে এক্স-রে হয় না এটা আমার জানাই ছিল না। ' এরপরেই তিনি আরও জানান,'আমি চেষ্টা করব, যাতে মানুষের সুবিধার্থে রাতেও এক্স-রে করার ব্যবস্থা করা যায়।'


মন্ত্রীর মন্তব্যে জেলা জুড়ে শোরগোল


মেমারি গ্রামীন হাসপাতালের বিএমওএইচ দেবাশীষ বালা জানিয়েছেন(গ্রাফিক্স), 'মন্ত্রী মশাইককে এক্স রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনে খাবার জন্য ব্যাথার ঔষধ দেওয়া হয়েছে।'এদিকে খোদ মন্ত্রী চিকিৎসা করাতে এসে সম্পূর্ণ চিকিৎসা করাতে না পেরে বিস্ময় প্রকাশ করে ফিরে যেতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


আরও পড়ুন, তোলা দিতে 'না', প্রবাসী আর্কিটেক্টকে 'বেধড়ক মার' খাস কলকাতায়


প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও এর আগে মদন মিত্রের মুখে উঠে এসেছিল গুরুতর অভিযোগ। হাসপাতালে দালালচক্র নিয়ে গতবছর বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন মদন মিত্র। মদন মিত্র বলেছিলেন, 'হাসপাতালে দালালদের প্রতিদিনের আয় ৫০ হাজার টাকা। কলকাতা পুলিশ এসএসকেএম, এনআরএসে ধরেছে, তার মানে এতদিন ছিল! কামারহাটিতে দালালরাজের বিরুদ্ধে যারা মিছিল করেছিল, তাদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। বউ-বাচ্চাকে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। কলকাতায় গ্রেফতার হল, আর কামারহাটিতে ধরতে পারছে না? পুলিশ ধরতে পারে না, এটা হয়?' সেসময় মন্তব্য করেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।