কলকাতা: ঝাড়খণ্ডের একাংশ ও দক্ষিণবঙ্গে গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে ডিভিসি। এর ফলে দামোদর তীরবর্তী পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়া জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে দেড় লক্ষ কিউসেকেরও বেশি জল ছাড়া হচ্ছে। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও ধাপে ধাপে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ জল ছাড়ার পরিমাণ দেড়লক্ষ কিউসেক ছাড়িয়ে গেছে। 


এদিকে রাজ্যের এই পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে দামোদর ভ্যালি এলাকায় বিশেষত নিচু এলাকায় বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মাইথন ড্যাম, পাঞ্চেত ড্যাম এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার জন্য বন্যাসম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা প্লাবিত হতে পারে, সেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রধান সচিব ও সচিব পর্যায়ের ১০ জন সিনিয়র অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে।'             


তিনি এও বলেন, 'রাজ্যের এই পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনকে সদাসতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ত্রাণের যথাযথ ব্যবস্থা থেকে খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের ব্যবস্থা রাখার কথাও বলা হয়েছে।'                      


আরও পড়ুন, 'এখনও হাসপাতালে ঘুরছে সেই ব্যক্তিরা, ভয়ের পরিবেশে কীভাবে কাজে যোগ?' সুপ্রিম-আর্জি জুনিয়র ডাক্তারদের


আবহাওয়ার পূর্বাভাস          


আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানান হয়েছে, নিম্নচাপ সরে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের দিকে। আজ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও হালকা বৃষ্টি হলেও, শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে নিম্নচাপের ফেলে যাওয়া জলীয় বাষ্প থেকে তৈরি হওয়া আর্দ্রতা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি হলেও, বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।                          


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে