কলকাতা: ঠাকুরদার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে খুশি অধীশা, রেজাল্ট দেখেই কার্যত চোখে জল চলে এসেছিল তাঁর। যে ছবি ধরা পড়েছে এবিপি আনন্দের পর্দায়। কী বলছে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী অধীশা? 'সবার মুখ উজ্জ্বল করতে পেরেছি। ঠাকুরদার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি, এটাই ভীষণ ভাল লাগছে। দাদু বলত, এমন রেজাল্ট করবি যেন বাড়িতে প্রেস মিডিয়া আসে।' পরবর্তীকালে কী নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় অধীশা? এ প্রসঙ্গে সে জানাচ্ছে, আপাতত তাঁর ইচ্ছে অঙ্কে স্নাতক হতে চায় সে। অঙ্ক ভালবাসে অধীশা। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং  পড়ার ইচ্ছেও রয়েছে পছন্দের তালিকা। আর ভবিষ্যত পরিকল্পনা? পথ শিশুদের দেখে খারাপ লাগে তাঁর, তাই ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের জন্যও কাজ করতে চায় সে । 


অধীশা আরও বলছে, বাবা-মায়ের অবদান সব থেকে বেশি। তাঁরা কোনও খামতি রাখেনি। তবে অনলাইন পড়াশোনার ক্ষেত্রে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস খুব ভালভাবে করতে না পারার একটা আক্ষেপ রয়েছে। আর হোম সেন্টারে পরীক্ষার অভিজ্ঞতা? অধীশা জানালো পড়াশোনা নিয়ে কনফিডেন্ট থাকলে এগুলো কোনও অন্তরায় নয়।'



৪৯৮ পেয়ে উচ্চমাধ্যমিকের (HS Result) মেধাতালিকায় (Merit List) প্রথম কোচবিহারের অধীশা দেবশর্মা। স্বাভাবিকভাবেই নম্বরে ভীষণ খুশি সে। এবিপি আনন্দকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় সে জানিয়েছেন, দিনে টিউশন বাদে মাত্র চার থেকে ৫ ঘণ্টা পড়াশোনা করতে সে। ৯ জন শিক্ষিকা ছিল তাঁর। আগামী দিনে কী করতে চায় অধীশা? প্রথম স্থানাধিকারী ছাত্রী জানাচ্ছেন, সৎ পথেই এগিয়ে যেতে চায় সে। আগামীদিনে পথ শিশুদের জন্য কাজ করার ইচ্ছেও রয়েছে তাঁর। 


সবমিলিয়ে ঠাকুরদার স্বপ্ন, নিজের ইচ্ছেপূরণ করতে পেরে বেজায় খুশি অদিশা। তবে পরীক্ষার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে অদিশা? সে বলছে, 'শুধু পড়াশোনাই নয়, নাচ-গান-আঁকা-আবৃত্তিও চলত একই সঙ্গে, ফোর্থ ইয়ার কমপ্লিট করেছি নাচ আর আবৃত্তির। গিটারও শিখেছি'। আমার মতে, কেউ যদি কোনও জিনিসকে ভালবাসে এবং মন থেকে করতে চায় কখনই সেটা পড়াশোনার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় না, মন অস্থির হলে গোয়েন্দা গল্প পড়তাম'। অদিশার কথায়, 'এমনও হত কোনও কোনও দিন পড়তামই, কখনও আবার সারাদিন বই নিয়ে বসে থাকতাম। নির্দিষ্ট কোনও রুটিন ছিল। '