হিন্দোল দে, অনির্বাণ বিশ্বাস ও সোমনাথ মিত্র, কলকাতা : বেছে বেছে ISF কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তৃণমূল ও পুলিশের (Police) যোগসাজশে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আগে মনোবল ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করল আইএসএফ। অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল (TMC)।
আরও গ্রেফতার
২১ তারিখ ISF-এর প্রতিষ্ঠা দিবসে, ভাঙড়ে উত্তেজনা, ধর্মতলায় পুলিশ-ISF খণ্ডযুদ্ধ, ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির (Nawsad Siddique) গ্রেফতারি ঘিরে রাজ্য় রাজনীতি এখনও উত্তপ্ত। সেই ঘটনায় এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করল আইএসএফ। তাদের দাবি, সংঘর্ষের ঘটনায় বেছে বেছে ISF কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তৃণমূল ও পুলিশের যোগসাজশে পঞ্চায়েত ভোটের আগে মনোবল ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে।
২১ তারিখের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ (Leader Complex Police Station)। পুলিশের দাবি, ধৃত মোট ৫০ জনের মধ্য়ে ৪২ জন ISF-এর কর্মী। ৮ জন তৃণমূল কর্মী। এখানেই প্রশ্ন তুলছেন আইএসএফ-সহ বিরোধীরা।
আইএসএফের অভিযোগে তুলকালাম
আইএসএফের দক্ষিণ ২৪ পরগনার সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা বলেছেন, 'সেদিনের ঘটনায় যারা আক্রমণ করল, ভাঙচুর করল তারা কেউ গ্রেফতার হল না। বেছে বেছে আমাদের লোককে গ্রেফতার, শুধু তাই নয় এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে পুলিশ। আমরা জানি ৫০ জনই আমাদের। সাধারণ মানুষকে তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল দেখাচ্ছে। সত্যিই তৃণমূল ধরত তাহলে আরাবুল, ছেলে হাকিবুল, জুলফিকার মোল্লা ওরফে জুলু এদেরকে কেন গ্রেফতার করল না? পুলিশ শাসকদল পঞ্চায়েত ভোটে মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা'।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, 'আরাবুল তার ছেলে বাকিরা কেন এখনও গ্রেফতার হবে না? তৃণমূল ও পুলিশের যোগসাজশ'। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা বলেছেন, 'ওরা তো কিছু করেনি। কেন পুলিশ গ্রেফতার করবে? পুলিশ তদন্ত করছে'।
একাধিক জায়গায় মিছিল
শুক্রবার নৌশাদ সিদ্দিকির মুক্তির দাবিতে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের তালদি বয়ার সিং গ্রাম, বাগানআইটে ও হাওড়ায় মৌন মিছিল করে আইএসএফ। হুগলির সিঙ্গুরে ধিক্কার মিছিল করে বিজেপি (BJP)। টাকি রোডের কদম্বগাছি থেকে পীরগাছা পর্যন্ত যৌথ মিছিল করে আইএসএফ ও বামেরা।
আরও পড়ুন- ডিএ-র দাবিতে পথে সরকারি কর্মীরা, মিছিল-অবস্থানে প্রশ্ন অপেক্ষা আর কতদিন ?