সত্যজিৎ বৈদ্য়, অনির্বাণ বিশ্বাস ও মুন্না আগরওয়াল, কলকাতা : পথেই কাটল বড়দিন। ক্রিসমাসেও (Christmas) আন্দোলনস্থলে চাকরিপ্রার্থীরা (Job Aspirants)। রয়েছেন সান্তাও। তবে তিনি গিফট দিচ্ছেন না। বরং সরকারের কাছে উপহার হিসেবে চাইছেন নিয়োগপত্র। এদিন, ধর্মতলায় আন্দোলনকারীদের মঞ্চে যান মহম্মদ সেলিম (Md Selim)। পুরোটাই রাজনীতি। যাঁরা যোগ্য, তাঁরা পথে না বসলেও চাকরি পাবেন। মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
একের পর এক উৎসব, পথেই চাকরিপ্রার্থীরা
দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর এবার বড়দিন। আরও একটা উৎসব কাটল সেই রাস্তায়। পরিবারের সঙ্গে নয়। রাজপথের এককোণে! তবে, এই প্রথমবার নয়, দু-দুটো বড়দিন রাস্তাতেই কাটল, SLST চাকরিপ্রার্থীদের।
৬৫১ দিন অর্থাৎ ১ বছর সাড়ে ৯ মাসে পড়েছে, মেয়ো রোডে SLST'র চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। মেয়ো রোড থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পার্কস্ট্রিট, মানুষের ঢল নেমেছে সেখানে। আর তার অদূরে এভাবেই খোলা আকাশের নিচে ক্রিসমাস কাটছে চাকরিপ্রার্থীদের।
মন খারাপ চাকরিপ্রার্থীদের
উৎসব থেকে বহু দূরে বড় দিনেও মন খারাপ চাকরিপ্রার্থীদের সন্তানদের নিয়ে আন্দোলনমঞ্চে মা-বাবা। এক চাকরিপ্রার্থী জানিয়েছেন, সারা বাংলা উৎসবে মাতোয়ারা। আমরা পরিবার ছেড়ে এখানে বসে আছি। আমরা ফুটপাতে বসে দ্বিতীয় বড়দিন পালন করছি। মমতা, অভিষেক, শিক্ষামন্ত্রী, দফতর সবাই কথা দিয়েছে। কেউ কথা রাখেনি।
উপহার নয়, চাকরি চাইছেন সান্তা
বড়দিনে মাতঙ্গিনী মূর্তির নিচেও একই ছবি। এখানে রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের ৫টি পাশাপাশি মঞ্চ। ১৩০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন, রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। ১২৯ দিন ধরে আন্দোলনে গ্রুপ সি-গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীরা। ২৮ দিন ও ১২৫ দিন ধরে পৃথক পৃথক ভাবে আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করছেন। আর ১৩০ দিন ধরে ধর্না কর্মসূচি চলছে ২০১৪-র প্রাথমিকে টেট পাস করা নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের। এদিন সন্তানদের নিয়েই আন্দোলন মঞ্চে আসেন আন্দোলনরত বাবা-মারা। এখানেও রয়েছেন সান্তা। তবে তিনি উপহার দিচ্ছেন না। সরকারের কাছে উপহার চাইছেন তিনি।
এদিন আন্দোলন মঞ্চে যান সিপিএমের রাজ্য় সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন, মাতঙ্গিনীর মূর্তির নীচে পৃথক পৃথক পথনাটিকার মাধ্যমে দাবি-দাওয়ার কথা জানান আপার প্রাইমারি, গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুন- 'করোনা-সতর্কতার সঙ্গেই বছর শেষের উৎসবে মাতুন' দেশবাসীকে সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রীর