কলকাতা: রাজ্যে (West Bengal) এলেন সিবিআইয়ের () অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনাগর। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) থেকে গরু, কয়লা পাচার, একাধিক মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া কী অবস্থায় রয়েছে? কীভাবে তদন্তে আরও গতি আনা সম্ভব, তা নিয়ে সিবিআই অফিসারদের CBI সঙ্গে বৈঠক অজয় ভাটনাগরের।       


এদিকে, শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় তদন্তে গতি আনতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স তৈরি করল CBI. নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রতিদিন নতুন নাম উঠে আসছে। কয়েকজন অফিসার নিয়ে তদন্তে গতি আনা সম্ভব নয়। কয়েকদিন আগে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠিয়ে জানানো হয় বলে CBI সূত্রে খবর। এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তৈরি করা হয় টাস্ক ফোর্স। 



CBI সূত্রে খবর, দেশের বিভিন্ন জোন থেকে ৭ জন অফিসারকে বেছে নিয়ে ২ মাসের জন্য কলকাতায় সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখায় পাঠানো হয়েছে। এসএসসি-র শিক্ষক থেকে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ। কিংবা প্রাথমিকের টেট। অঢেল দুর্নীতির তদন্তে নেমে বারবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে CBI-ও। 
এই পরিস্থিতিতে, CBI সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠিয়ে জানানো হয়, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রতিদিন নতুন নাম উঠে আসছে। সামনে আসছে নতুন নতুন তথ্য। কয়েকজন অফিসার নিয়ে তদন্তে গতি আনা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। 


CBI সূত্রে খবর, এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই দ্রুত তৈরি করা হয় টাস্ক ফোর্স। CBI সূত্রে খবর, টাস্ক ফোর্সে রয়েছেন দিল্লির SP পদমর্যাদার এক অফিসার, বিশাখাপত্তনম, ভুবনেশ্বর ও রাঁচি থেকে আসা DSP পদমর্যাদার ৩ অফিসার, ভোপাল ও বিশাখাপত্তনম থেকে আসা ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ২ অফিসার ও ধানবাদের এক সাব ইন্সপেক্টর। 


জানা গেছে, তদন্তে গতি আনতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের এই অফিসারদের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসাররাও থাকবেন। সম্প্রতি, নাইসার ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাস, মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল ও বাগদার 'সৎ রঞ্জন' ওরফে চন্দন মণ্ডলের গ্রেফতারির পরও আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিবিআই। নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিন্হা-সহ ১৪ জনকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিচারক সিবিআইয়ের উদ্দেশ্য়ে ভর্ৎসনার সুরে বলেন,  


আর কত দিন এটা আদালতের মহত্ব, যে আপনাদের সহ্য করে যাওয়া হচ্ছে। হাইকোর্টে গিয়ে বলে দিন আপকা বস কি কাম নেহি। ২৯ মার্চ, কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CBI-এর ভূমিকায় কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, দুর্নীতির সমুদ্রে আমি হাবুডুবু খাচ্ছি। CBI তো কিছুই করছে না। 



এর আগে, ১৬ মার্চ আলিপুর আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়, CBI-র উদ্দেশে বলেন, আপনারা কি তদন্ত করতে জানেন না? এই পরিস্থিতিতে, সিবিআইয়ের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠনকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।