সমীরণ পাল, বনগাঁ: কালবৈশাখীর (Kalbaishakhi) তাণ্ডবে তছনছ বনগাঁ (Bongaon) শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। একাধিক ওয়ার্ডে ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি। গাছের ডাল ভেঙে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে একাধিক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। গতকাল রাত থেকেই উদ্ধারকাজে নেমেছেন বনগাঁ পুরসভার কর্মীরা। পুরসভার তরফে ত্রিপল ও শুকনো খাবার বিলি করা হচ্ছে।                                             

  


তবে শুধু বনগাঁ নয়, প্রবল বৃষ্টিতে ভাসল দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) একাধিক জেলা। গাছ পড়ে বহু জায়গায় বিপত্তিও ঘটেছে। হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানে গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। কোথাও ভেঙে পড়েছে মোবাইল ফোনের টাওয়ার, কোথাও আবার বিঘ্ন ঘটেছে ট্রেন চলাচলে। এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল হাওড়া-কলকাতা ফেরি চলাচলও।                            


শনিবারও কালবৈশাখীর ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি। বিপর্যস্ত শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ।  ব্যাহত হল বিমান ও মেট্রো পরিষেবা। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় গাছ পড়ে বিপত্তি। এরইমধ্যে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী কয়েকদিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গেও।


আরও পড়ুন, রবিবারেও রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা? ভারী বর্ষণের চোখ রাঙানি উত্তরবঙ্গে


এদিকে, টানা বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে সেতুর কংক্রিটের চাঙড় ভেঙে বিপত্তি। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে বিপজ্জনক সেতু দিয়েই চলছে যাতায়াত। আজ সেতু পরিদর্শনে যান ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।  স্থানীয়দের দাবি, একটানা বৃষ্টি, তার ওপর অতিরিক্ত পণ্যবাহী যান চলাচল করায়, শুক্রবার আংরাভাসা থেকে বাঙ্কুবাজার যাওয়ার সেতুর চাঙড় খসে পড়ে রাস্তায় বিশাল গর্ত তৈরি হয়।এরপর ওই সেতুতে ভারী যান বন্ধ করা হলেও, ছোট গাড়ি চলাচল করছে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছেন আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা।