কলকাতা: বাংলাদেশর পরিস্থিতি (Bangladesh issue) নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার সকালে দিল্লি উড়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করলেন। প্রথমেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র এই বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adikari)।
এপ্রসঙ্গে বলেন তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শায়ের কাছে সময় চেয়েছিলাম। তাঁর সঙ্গে দুটি বিষয়ে কথা হয়েছে। অমিত শা যেহুতু সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্য। তাই আমি ওনার কছে অনুরোধ করেছি বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় ও হিন্দু মন্দিরের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের যেন ক্ষতি না করা হয় তা দেখতে। আমি কোনও উদ্বেগ নিয়ে দিল্লি এসেছিলেম। কিন্তু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আমাতে এই বলে আশ্বাস্ত করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন। একসময়ে আমার মা বরিশাল থেকে এত কাপড়ে চলে এসেছিলেন। সেই যন্ত্রণা এখনও আমার ভেতরে রয়েছে। তাই উদ্বেগ ছিল। তা নিরসনের জন্য এসেছিলাম। অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলে সেই বিষয়ে উদ্বেগ দূর হয়েছে।"
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "বাংলাদেশে বিষয়টি অতন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। ভারত বিশেষ পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের সুদৃঢ় সম্পর্ক আছে। আমাদের ইতিহাস, আমাদের ভাষা এবং আমাদের সংস্কৃতি কাজকর্মের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক। আমরা সবাই প্রার্থনা করছি বাংলাদেশে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসুক।। এটা একটা আন্তর্জাতিক বিষয়। তাই বাংলাদেশের বিষয়ে যা কিছু বলার ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা কেন্দ্রীয় সরকার নেবে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যা পদক্ষেপ নেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাই অনুসরণ করবে। আমরা আরও অনুরোধ করেছি যে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলদেশ সবথেকে বড় সীমান্ত শেয়ার করছে। তাই বাংলাদেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সরকার যদি মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে আলোচনা করেন তাহলে খুব ভালো হয়।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।