কলকাতা: জ্বলছে বাংলাদেশ (Bangladesh Violence)। দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সেনার হাতে শাসনের রাশ। কিন্তু সে দেশজুড়ে মৃত্যুমিছিল। একের পর এক খুনের ছবি, পিটিয়ে হত্যা, পুড়িয়ে খুন। তুঙ্গে ধ্বংসলীলা। উন্মত্ত জনতার হাতে প্রাণ হারিয়েছেন বাংলাদেশের প্রযোজক সেলিম খান ও তাঁর ছেলে, অভিনেতা শান্ত খান (Shanto Khan)। নায়কের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর সহ অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Koushani Mukherjee)। কী বললেন তিনি?
শান্ত খানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সহ-অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়
শেষ হয়েছিল ছবির কাজ। এই বছরেই মুক্তি পেত শান্ত খানের সঙ্গে কৌশানীর অভিনীত ছবি। প্রচারের জন্য সেই দেশে যাওয়ার ব্যাপারে মানসিক প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন নায়িকা। কিন্তু তার বদলে পেলেন মৃত্যুসংবাদ, যার জন্য কোনওদিনই প্রস্তুত ছিলেন না। উত্তাল বাংলাদেশে উন্মত্ত জনতার রোষে প্রাণ হারিয়েছেন সে দেশের নায়ক শান্ত খান। গতকাল রাতের তাঁর মৃ্ত্যুর খবর মেলে। অভিনেত্রী এদিন এবিপি আনন্দকে বলেন, 'ওই মুহূর্তে এর থেকে খারাপ খবর আমার কাছে আর কিছু হতে পারত না। একটা অল্পবয়সী ছেলে, আমার সঙ্গে ভালই কথা হত। আমরা একসঙ্গে শ্যুটিং করেছি। স্বাভাবিকভাবে ভাল বন্ধুত্ব ছিল। এর আগে শ্রাবন্তীর সঙ্গেও কাজ করেছে। আমার মনে হয় ওঁর মধ্যে কাজ করার ইচ্ছেটা ছিল। আগামীদিনে আমাদের শ্যুটিং করা ছবিটা রিলিজ করার কথা ছিল। কাল রাতে এই খবরটা পেয়ে আমি খুবই ডিস্টার্বড ছিলাম। আমার ফোনেও অনেক ছবি রয়েছে, ওঁর সঙ্গে অনেক ভাল স্মৃতি রয়েছে। সবটা মিলিয়ে শোকস্তব্ধ। আমার মনে হয় না মৃত্যুটা এভাবে প্রাপ্য কারোরই। যে ভিস্যুয়ালগুলো বাংলাদেশের আমি দেখতে পাচ্ছি, আমি এটুকুই বলব, সবকিছুর ঊর্ধ্বে শান্তি কামনা করি বাংলাদেশে।'
অভিনেত্রী আরও বলেন, 'আমার ছবিটার শ্যুটিং হয়ে গিয়েছিল, ডাবিংও হয়ে গিয়েছিল। এ বছর ছবিটা মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। প্রচারের সময় হয়তো আমাকে বাংলাদেশ যেতে হত। তেমনই জানতাম, মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু এই মৃত্যুর খবরটার জন্য কখনওই প্রস্তুত ছিলাম না। খুব তাড়াতাড়ি একজনকে হারালাম।' শান্ত খানের বাবা বাংলাদেশের জনপ্রিয় প্রযোজক সেলিম খান, যিনি এদেশের তারকা অভিনেতা প্রযোজক দেবের সঙ্গেও কাজ করেছেন। শোকস্তব্ধ তারকা সাংসদও।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।