সন্দীপ সরকার, কলকাতা : আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতির মামলাতও গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। সিবিআই গ্রেফতার করেছে তাঁকে। এবার আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হতে চলেছে। সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। ১১ দিনেও শোকজের জবাব না আসায় তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে শোকজ করেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সেই শোকজের চিঠিতে আরজি কর কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়া এবং সেই সংক্রান্ত ইস্যু উল্লেখ করা হয়েছিল। কেন তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না, সেই মর্মে তিন দিনের মধ্যে তাঁর জবাব তলব করা হয়েছিল। কিন্তু, ৭২ ঘণ্টার জায়গায়, আজ ১১ দিনেও তাঁর জবাব পৌঁছয়নি। সেই কারণে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। এই মর্মে আগামীকাল বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
CBI-এর হাতে গ্রেফতারির ৫ দিন বাদে আর জি কর মেডিক্য়ালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে শোকজ করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।
তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের ঘটনায় লাগাতার আন্দোলনে প্রবল চাপের মুখে ১২ অগাস্ট সকালে আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজ থেকে ইস্তফা দেন এই সন্দীপ ঘোষ। যদিও, এর কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করে দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ অবধি হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, প্রবল সমালোচনা ও কড়া নির্দেশের প্রেক্ষিতে সেখানে যোগ দিতে পারেননি সন্দীপ ঘোষ। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, সন্দীপ ঘোষকে লম্বা ছুটিতে না পাঠালে ব্যবস্থা নেবে আদালত।
এরপরই ধর্ষণ-খুন মামলায় সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে CBI। এরই মাঝে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তও শুরু করে তারা। ময়দানে নামে ED-ও। এরপর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে CBI। এর ৫ দিন পর কেন তাঁর চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়ে সন্দীপ ঘোষকে শো-কজ করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সূত্র মারফত জানা যায়, মেডিক্যাল কাউন্সিলের ৬জন সদস্য কার্যত বিদ্রোহ করে বলেন, যে সন্দীপ ঘোষদের রাখা হলে গণ পদত্য়াগ শুরু হবে। তারপরই অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করে রাজ্য় মেডিক্য়াল কাউন্সিল এবং সন্দীপ ঘোষকে শোকজ করা হয়।