ঝিলম করঞ্জাই , কলকাতা : অবশেষে গরম থেকে মিলল সাময়িক স্বস্তি। দক্ষিণবঙ্গে শুরু হয়ে গেল প্রাক বর্ষার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। বুধবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে বলেই আশা করছে আবহাওয়া দফতর । বৃহস্পতিবার তা আরও কিছুটা বাড়বে। আর বেশি দেরি নয়, দক্ষিণে বর্ষা প্রবেশ করবে ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যেই। উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই তাণ্ডব দেখিয়েছে বর্ষা ।

  


বর্ষার প্রবেশ বার্তা 


দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে বর্ষা প্রবেশ করবে। বিহার থেকে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। দখিনা বাতাস ভর করে রাজ্যে ঢুকছে প্রচুর জলীয় বাষ্প। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। এবার বর্ষার প্রবেশ শুধু সময়ের অপেক্ষা। 


অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের দুর্যোগে ভয়াল রূপ নিয়েছে। দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। সিকিমসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রবল বৃষ্টির প্রভাব পড়বে। পার্বত্য এলাকা ও সংলগ্ন জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। অতি বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়তে পারেন পর্যটকরা। ইতিমধ্যেই সিকিমে দুর্যোগে আটকে পড়া বহু পর্যটককে উদ্ধার করে রাজ্যে ফেরানো হয়েছে।


উত্তরের দুর্যোগ


আরও চার পাঁচ দিন প্রবল বৃষ্টি ও দুর্যোগ চলবে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বঙ্গে। উপরের দিকের পাঁচ জেলাতেই ভারী বৃষ্টি চলবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলাতে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাস বইবে। 
অতিভারী বৃষ্টি আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায়। এই তিন জেলার কয়েক জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা। দার্জিলিং, কালিম্পং জেলার কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া থাকবে।


উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিতে নদীগুলির জলস্তর অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। পার্বত্য এলাকায় ধস এবং দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে। ট্রাফিক ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হতে পারে। যানবাহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। নীচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। শস্যের ক্ষতি হতে পারে। কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।


বুধবার রাতের তাপমাত্রা ৩০.২ থেকে সামান্য বেড়ে ৩০.৪ ডিগ্রি হবে, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩.৪ ডিগ্রি বেশি। বুধবার তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। বৃহস্পতিবার দিনের তাপমাত্রা ৩৬.৪ থেকে সামান্য কমে ৩৬.২ ডিগ্রি হবে, যা স্বাভাবিকের থেকে ২.৪ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ভোরে ৬২ শতাংশ। বেলা বাড়লে ৯২ শতাংশ। বৃষ্টি হওয়ার আগে পর্যন্ত চূড়ান্ত গরমে ঘেমেনেয়ে বাড়বে অস্বস্তি। 


আরও পড়ুন :                          


কর্মক্ষেত্রে নতুন সুযোগ কর্কটের, মকরের বিরাট অর্থযোগ, এই সপ্তাহে সাফল্যে ভরে উঠবে এই ৫ রাশির ঝুলি