সৌভিক মজুমদার , কলকাতা : ৪ পুরসভার নির্বাচনে বিরোধীদের হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কোনও পুরসভাতেই দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেনি বিরোধীরা। এই প্রেক্ষাপটে চার পুরসভার নির্বাচন নিয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। 

তাঁদের অভিযোগ, ৪ পুরসভার নির্বাচনে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি পুরভোটে বাহিনী সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বাহিনীর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দেওয়ার পরে, কোথাও যদি গোলমাল হয়, তা হলে তার দায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের। এই প্রেক্ষাপটে বিজেপির অভিযোগ, ৪ পুরসভার ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাস হয়েছে। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিধিভঙ্গ করেছে। 

আরও পড়ুন :


' তৃণমূল কংগ্রেস সবাইকে জানাচ্ছে ধন্যবাদ ' , পুরভোটে সবুজ ঝড়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া



এ নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোট রয়েছে।   সেই ভোটেও সন্ত্রাসের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিজেপি। পুরভোট নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি। গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। মঙ্গলবার বিজেপির দায়ের করা মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

ভোটের সকালে রক্ত ঝরে আসানসোলে। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ  তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে সামনে আনা হয় ভিডিও ফুটেজ। ওঠে বুথ দখলের অভিযোগও। সব অভিযোগই ভিত্তিহীন বলে দাবি করে শাসকদল। আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডেও উত্তেজনা ছড়ায় । জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী, বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এরপর আসানসোল ও বিধাননগরে ভোট বাতিলের দাবিতে কমিশনকে চিঠিও দেয় বিজেপি। শনিবার ভোট শেষ হতে না হতেই শিলিগুড়ির ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রঞ্জন শীল শর্মা ও বিজেপি প্রার্থী পার্থ বৈদ্য-র মধ্যে হাতাহাতি বাধে। 


আরও পড়ুন 


ইসলামপুরে বিদায়ী পুর প্রশাসক সহ ১০ জনকে বহিষ্কার করল তৃণমূল