কলকাতা: রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ায়

  কলকাতা হাইকোর্টে ( Calcutta High Court)পুরভোট (West Bengal Municipal Election 2022) পিছনোর আবেদন। মামলা করার অনুমতি দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সমাজকর্মী বিমল ভট্টাচার্য আদালতে আবেদনে জানান, রাজ্যে দিনে ৯ হাজারের বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে আসন্ন পুরসভা নির্বাচন পিছনোর আবেদন জানান মামলাকারী। জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামীকাল শুনানির সম্ভাবনা।


আবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৯ হাজারের বেশি। এই অবস্থায় আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের যে পাঁচটি পুরসভায় নির্বাচন রয়েছে, তা কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য, আগামী ২২ জানুয়ারি চন্দননগর (Chandannagar), বিধাননগর (Bidhannagar), শিলিগুড়ি (Siliguri) এবং আসানসোল (Asansol) পুরসভায় ভোট।


কলকাতা পুরসভার নির্বাচন মিটতেই বকেয়া পুরসভার নির্বাচন সেরে ফেলার দাবি উঠছিল। সেই পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠক করে কমিশন। বৈঠক শেষে চার পুরসভার নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা করা হয়। কমিশন জানায়, আগামী ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি, চন্দননগরে ৩৩টি, বিধাননগরে ৪১টি এবং আসানসোলের ১০৬ ওয়ার্ডে নির্বাচন হবে। চার পুরসভায় ভোটের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩ জানুয়ারি। করোনা আবহে ভোট। সেজন্য, এ বার কড়া বিধিনিষেধ বেঁধে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বাড়ি বাড়ি প্রচারে সর্বাধিক পাঁচ জনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খোলামাঠে প্রচারসভায় (Election Campaign) ৫০০-র বেশি জনসমাগম করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।


করোনা আবহে ভোট পিছনোর দাবি উঠলেও কমিশন গত সোমবার জানিয়েছিল, পূর্ব নির্ধারিত ২২ জানুয়ারিই বকেয়া চার পুরসভায় নির্বাচন হবে। তবে তার জন্য কড়া বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। ওই দিন কমিশনের তরফে যে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে পদযাত্রা, পথসভা, সাইকেল এবং বাইক মিছিল একেবারে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।


বাড়ি বাড়ি প্রচারেও লাগাম টেনেছে কমিশন। সর্বাধিক প্রার্থী, সহযোগী মিলিয়ে সর্বাধিক পাঁচ জনকে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাওয়ায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রচারের সময়সীমাও কমানো হয়েছে। ভোটগ্রহণের ৭২ ঘণ্টা আগে সব ধরনের প্রচার বন্ধ করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে।