কলকাতা : শান্তনু ঠাকুরের পর সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি নেতাদের কথায়, বাংলায় সরকার পতনের ইঙ্গিত। যে যার পরই জোরাল হচ্ছে অন্য আশঙ্কা। তবে কি মহারাষ্ট্রের ঘোড়া কেনাবেচার ছক বাংলাতেও ? তৃণমূল সরকার ফেলতে কি ঘোড়া কেনাবেচার ছক ? সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের পরই বাড়ল জল্পনা।
বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'বাংলার সরকার যে কোনও সময় পড়ে যেতে পারে। হঠাৎ বিধায়করা মনে করতে পারেন অন্য কাউকে সমর্থন করবেন। আবার এমন গণ আন্দোলন হতে পারে, হয়ত বিধায়করা পদ ছেড়ে দেবেন'। বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের থেকেও এক কদম এগিয়ে দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর গতকালই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন।
শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) বলেছিলেন, 'আগামী ৫ মাসের মধ্যে রাজ্যে (West Bengal) তৃণমূলের (TMC) সরকার পড়ে যাবে। বাংলায় শাসকদল যে ভাবে পঞ্চায়েত ভোট করিয়েছে, তাতে গণতন্ত্র চলতে পারে না। তৃণমূল সন্ত্রাস না করলে বিজেপি ১০ গুণ ভোট পেত। এরা ভেবে নিয়েছে এরা চিরস্থায়ী। কিন্তু এরা চিরস্থায়ী নয়, আগামী ৫ মাসেই এদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে'। যে বক্তব্যের পরই রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছিল। যা আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেল রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী, জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুরের পর সুকান্ত মজুমদার, একাধিক বিজেপি নেতার মুখে উঠে এসেছে ৩৫৫-র এর প্রসঙ্গ। আর যারপরই তীব্র হচ্ছে রাজনৈতিক জল্পনা। এমনিতেই রবিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছে রাজ্য বিজেপি। সেখানে রাজ্যের প্রত্যেক জেলায় গেরুয়া শিবিরের কেমন পারফরম্যান্স তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলেছে। সেই বৈঠকে ৩৫৫ নিয়েও বিজেপি নেতাদের আলোচনা হতে পারে বলেই সম্ভাবনা। ইতিমধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সময় হওয়া বেলাগাম হিংসা ঘিরে বঙ্গে ৩৫৫ ধারা জারি করার দাবি কয়েকদিন ধরেই জানাচ্ছেন, একের পর এক বিজেপি নেতারা।
আরও পড়ুন- হারিয়েছে ফোন ? খুঁজে দেবে পুলিশই ! কী কী ধাপে এগোবেন ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন https://t.me/abpanandaofficial