ইসলামপুর: তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে ফের সুর চড়ালেন ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তবে এবার তিনি নিজের দলের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন। 'এভাবে তৃণমূল সন্ত্রাস চালালে রাজ্যসভায় ভোট দিতে যাব না। সরকার কোনও বিল আনলে সমর্থন করব না', আক্রান্ত নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়কের। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে নির্দল প্রার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ আব্দুল করিম চৌধুরীর।


প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে। পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেবার অভিষেকের বিরুদ্ধে খুলেছিলেন মুখ। এমনকি মমতার উদ্দেশ্যেও বার্তা দিতে দুবার ভাবেননি। ইসলামপুরের নির্বাচনে যেনও মমতা হস্তক্ষেপ না করেন, তা নিয়ে কার্যতই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। বরাবরের সেই ধারাই এবার পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিনেও বজায় রাখলেন। নিজের দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক। 


তিনি সম্প্রতি বলেছিলেন, 'এরকম রক্তাক্ত করে জিতে কী হবে। জেতার জন্য খুন, লুঠ, পুলিশকে ব্যবহার করা যায় না।' প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মমতা-র উদ্দেশেও বার্তা দিয়েছিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী।  ইসলামপুরের নির্বাচনে মমতা যাতে হস্তক্ষেপ না করেন, কার্যতই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।  তিনি বলেন, 'বিধায়কের কথা রাখলেন না মমতা।  আমাদের তৃণমূলের যাঁরা নির্দল হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, আমি ওঁদের সমর্থনে প্রচারে যাব। যেটা আমি নিজের জন্য করতে পারতাম না, ওদের জন্য করব। মমতাদি আপনাকে অনুরোধ, ইসলামপুরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করবেন না। আমার সমান অধিকার আছে, যেটা আপনার আছে।'


প্রার্থীচয়ন নিয়েও নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছিলেন আব্দুল করিম। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেই প্রার্থী তালিকা তৈরি করে পাঠাবেন। তার গোটাটাই অনুমোদন করতে হবে। তা যদি না হয়, তাঁর পাঠানো তালিকায় নাম থাকবে যাঁদের, সকলে নির্দল হিসেবে দাঁড়াবেন। যদিও সেগুড়ে বালি !  কালীঘাট থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, 'দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। গোঁজ প্রার্থীরা নাম না তুললে আর কখনও দলে ফিরতে পারবেন না তাঁরা।' 


আরও পড়ুন, 'বাইরে থেকে নেতা পাঠিয়ে ভাঙড়ে অশান্তি', সওকতক নিশানা দিলীপের


এই প্রসঙ্গে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষও। কুণাল বলেন, 'উনি অনেক অভিজ্ঞ নেতা। বিধায়ক। তিনি অবাঞ্চিত মন্তব্য করেছেন। দল যাঁদের প্রতীক দিয়েছে, তাঁরাই তৃণমূলের প্রার্থী। তার বাইরে যাঁরা দাঁড়িয়েছেন, মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিন। আগামী দিনে সসম্মানে দলে জায়গা পাবেন। তার বাইরে যদি বিরোধিতা করেন কেউ, তা দলবিরোধী চরণ বলেই গন্য হবে।'