কলকাতা: মালদার মানিকচকে অবরোধ, বিক্ষোভ, গুলি চালনার নেপথ্য়ে সমস্য়া হিসেবে উঠে এসেছে লোডশেডিং। এর পাশাপাশি রাজ্য়ের সর্বত্র অস্বাভাবিক হারে বিদ্য়ুতের মাশুল বৃদ্ধির অভিযোগও উঠছে। এর প্রতিবাদে মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। পুলিশের কাছে অনুমতি না পেয়ে, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।
বিদ্য়ুতের মাশুল বৃদ্ধির অভিযোগ: বাম আমলের শেষ দিকে, রাজ্য় সরকারকে আক্রমণে তৃণমূলের অন্য়তম প্রধান অস্ত্র ছিল লোডশেডিং। এবার তৃণমূল জমানাতেও সেই লোডশডিংয়ের অভিযোগ নিয়ে রণক্ষেত্র বাধল মালদায়। তবে অভিযোগ শুধু লোডশেডিং নিয়েই নয়, রাজ্য়ের সর্বত্র অস্বাভাবিক হারে বিদ্য়ুতের মাশুল বৃদ্ধির অভিযোগও উঠছে। যার জেরে সাধারণ মানুষের অবস্থা কাহিল। CESC-র বিরুদ্ধেও অস্বাভাবিক হারে বিদ্য়ুতের মাশুল বৃদ্ধির অভিযোগ উঠছে। দিন দশেক আগে এনিয়ে মুখ খোলেন মুখ্য়মন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই সুযোগে শুনলাম সিইএসসি দাম বৃদ্ধি করেছে। আমাদের তো কিছু জানায়নি। বিদ্যুৎ দফতরকেও ওরা জানায়নি।'' এদিকে বিদ্য়ুতের মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। পুলিশের কাছে অনুমতি না পেয়ে, আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।
লোডশেডিং থেকে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। এক বাসিন্দা বলেন, "মানিকচকের ইলেকট্রিকের অবস্থা মোটামুটি একেবারে খারাপ অবস্থা। মোটামুটি ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা থাকল, আবার গেল ৬ ঘণ্টা নেই।'' ওই এলাকার এক বাসিন্দা সলমা সুলতানার অভিযোগ, "আমরা কেন সহ্য় করব ২৫দিন ধরে? বয়স্ক মানুষ আছে, ছোট বাচ্চারা আছে, ওরা কী করে থাকবে বাড়িতে?''
মালদার ঘটনায় এডিজি আইনশৃঙ্খলার তরফে বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "এলাকায় অনিয়মিত বিদ্য়ুৎ পরিষেবার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আজ মানিকচক থানার এয়ানেতপুরে স্থানীয় মানুষ রাস্তা অবরোধ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আইসি মানিকচক ঘটনাস্থলে পৌঁছতে জনতা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। জনতা পেট্রোল বোমা, ইট এবং লাঠি নিয়ে পুলিশকে তাড়া করে। নিকটস্থ একটি বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য় হন আইসি সহ অন্য় আহত পুলিশকর্মীরা। ঘটনায় কিছু স্থানীয় মানুষও আহত হয়েছেন, যাদের মধ্য়ে ২জন হাপাতালে চিকিৎসাধীন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: East Burdwan News: NEET PG-তেও কি দুর্নীতির জাল? ভাইরাল ফোনে কথোপকথনের অডিও