করুণাময় সিংহ, মালদা:  হোয়াটসঅ্যাপে লাইভ লোকেশনের সাহায্য নিয়ে ওপার থেকে এপারে এসে পৌঁছয় জাল নোট। প্লাস্টিকের ক্যারিবাগে করে মালদার সীমান্ত পেরিয়ে উড়ে আসে জাল নোটের বান্ডিল।জাল নোট পাচারকাণ্ডে মালদার বাসিন্দার গ্রেফতারির পর উঠে আসছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।


কীভাবে হত কাজ?


প্রথমে, সোশাল মিডিয়ায় মাধ্যমে শেয়ার করা হত লাইভ লোকেশন।  এরপর, কাঁটাতারের সীমান্তের ওপারে, বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভূখণ্ডে ছুড়ে দেওয়া হত জাল নোট ভর্তি প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ। জাল নোট পাচারকাণ্ডে মালদার বাসিন্দা কৌসর আলি, দিল্লিতে গ্রেফতার করার পর এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে পুলিশ সূত্রে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতের কাছ থেকে যে ৯৫ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে, সেই মোটা অঙ্কের জাল টাকা এসেছিল বাংলাদেশ থেকে।


মালদার বৈষ্ণবনগরে এই বাড়িটি কৌসরের বাড়ি। সপরিবারে এখানে থাকেন। ১০ বছর আগে জাল নোট কারবারে যুক্ত ছিল।                             


কিন্তু কেন জাল নোট কারবারিদের কাছে স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে মালদা? কীভাবে ওপার থেকে এপারে এসে পৌঁছয় জালনোট? পুলিশ সূত্রের দাবি, গোটা প্রক্রিয়াই হয় হোয়াটসঅ্যাপ মারফত। কাঁটাতারের দুপার থেকেই একে অপরকে লাইভ লোকেশন শেয়ার করে জালনোটের কারবারিরা। লোকেশনের কাছাকাছি জায়গায় এসে ওপার থেকে প্লাস্টিকে মুড়ে ছুড়ে ফেলা হয় জাল নোটের বান্ডিল। এপারে থাকা কারবারি এরপর সেই প্যাকেট সংগ্রহ করে নেয়। 


জাল নথি দিয়ে আসল পাসপোর্ট বানানোর চক্র নিয়ে একেই ঘুম উড়েছে প্রশাসনের। এর ওপর জাল নোটের সমস্যাও আরও বেশি করে মাথাচাড়া দেওয়ায়, আরও জটিল হচ্ছে সীমান্ত-সমস্যা।                                         


এদিকে, সীমান্তে কাঁটাতারের অভাবেই কি অনুপ্রবেশকারীদের অবাধ যাতায়াত? চিন্তা বাড়াচ্ছে,নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনার কাঁটাতার বিহীন এলাকাগুলি। নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ জেলার অন্তর্গত হাঁসখালি, ধানতলা, গাঙনাপুরের প্রায় ৮ কিলোমিটার সীমান্ত এখনও কাঁটাতার বিহীন। এই প্রেক্ষাপটেই, রবিবার অনুপ্রবেশ নিয়ে কার্যত BSF-এর ঘাড়ে দায় চাপালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।  


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে