কলকাতা: তাঁর পুত্রকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং করা হয়েছিল, কথা উঠেছিল তাঁর গায়ের রং নিয়েও। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সমস্ত ট্রোলিংয়ের সপাট জবাব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বছর শেষে সেই ঘটনা নিয়ে ফের একবার মুখ খুললেন সঙ্গীতশিল্পী জোজো। ঠোঁটকাটা উত্তরে জানিয়ে দিলেন, কেন একমাত্র পুত্রকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিংয়ে ফুঁসে উঠেছিলেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিং নিয়ে জোজো বলছেন, 'প্রথমত আমি খুব একটা সফট টার্গেট নই, যাকে মানুষ প্রত্যেকদিন ট্রোল করে। আমি সেটার জন্য আমার দর্শকদের আর ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে চাই। তবে নিন্দুকেরা তো নিন্দা করবেই। তারপরেও কিছু মানুষ এমন রয়েছেন যাঁদের কোনও কাজ নেই। সবসময়েই কারও না কারও নামে বলতে থাকেন। কেবল আমার নামে নয়.. অনেকেই নামেই। আমার নামে কেউ কিছু বললে, আমি গা করতাম না। কিন্তু যেহেতু আমার পুত্রকে নিয়ে বলা হয়েছে, আমার মনে হয়েছিল একটা উত্তর দেওয়া উচিত। এই সমস্ত মানুষেরা এই কারণেই সাহস পান যে তাদের কেউ কিছুই বলে না। অনেককেই এরা ট্রোল করে, কিন্তু কোনও জবাব পায় না। একটা দুধের শিশু, যে সবে পৃথিবীটাকে দেখছে, তাকে এত খারাপ কথা বলার কোনও অধিকার কারও নেই। সেই কারণেই আমি রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। তাতে যাঁরা সংবেদনশীল মানুষ, তাঁরা আমায় সমর্থন করেছেন। তার জন্য তাঁদেরকে অনেক ধন্যবাদ।'
ছোট্ট আদি (জোজোর পুত্র) যদি গানের জগতে আসতে চান, তাঁকে সমর্থন করবেন জোজো? সঙ্গীতশিল্পী বলছেন, 'আদি এখন অনেকটাই ছোট। তবে হ্যাঁ, আমার দুই সন্তানের মধ্যে কেউই লাইটস, ক্যামেরা অ্যাকশনকে ভয় পায় না। আমি আদিকে বেশ কয়েকটা শো-এ নিয়ে গিয়েছি। এক দেড় বছর বয়স থেকেই দেখছি, এত আলো, আওয়াজ ও কিছুতেই ভয় পায় না। দিব্যি মঞ্চে উঠে দর্শকদের হাত নাড়তে থাকে। ওকে আমায় একটা ফলস মাইক্রোফোন কিনে দিতে হয়েছে। সেটা নিয়ে আমি যেমন করছি, আমার মতো করেই ও পোজ দেয়। আমার ক্যামেরাপার্সেন বলেন, 'দিদি তোমার থেকে ওর ছবি ভাল এসেছে।' আমি কপাল এবং ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। যদি আমার ছেলে হিসেবে ওর কপালে লেখা থাকে ও একজন সঙ্গীতশিল্পী বা মিউজিশিয়ান হবে.. তাহলে হবে। সঙ্গে অবশ্যই ওর চেষ্টা থাকতে হবে। তবে ও কপালে যেটা লিখে এসেছে, সেটাই হবে।'
আরও পড়ুন: Jojo Mukherjee: শুনতে হয়েছে, আমি স্টেজ করে গেলে পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়