সমীরণ পাল, বনগাঁ : এদেশি বাবার বাংলাদেশি ছেলে ! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। অভিযোগ তুলেছেন বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি নেতা। অভিযোগ, বাংলাদেশের যুবক রকি মণ্ডল বেআইনিভাবে ভারতে ঢুকেছিল। এরপর বাগদার বাসিন্দা আয়েব মণ্ডলকে বাবা সাজিয়ে ভারতের ভোটার-আধার বানিয়ে ফেলার অভিযোগ। এমনকী ভারতীয় পাসপোর্টও বানিয়ে ফেলার অভিযোগ বাংলাদেশের যুবক রকি মণ্ডলের বিরুদ্ধে। মৃত আয়েব মণ্ডলের পুত্রবধূর দাবি, পরিচয়পত্র জালিয়াতির কথা জানতেন না। বিজেপি নেতার অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে তৃণমূল নেতারাই বাংলাদেশিদের ভোটার, আধার কার্ড পাইয়ে দিচ্ছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। 

Continues below advertisement

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বনগাঁ মহকুমায় একাধিক জায়গায় এই ধরনের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। কোথাও জেঠু-জেঠিমাকে মা-বাবা সাজনো হয়েছে। কোথাও বা মৃত শাশুড়িকে মা সাজানো হয়েছে। কোথাও আবার জামাই এবং নাতির বাবা একই ব্যক্তি। এর মধ্যে সামনে এল আয়েব মণ্ডল এবং রকি মণ্ডলের এই ঘটনা। এক বিজেপি নেতা বাগদার বিডিও এবং জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন এই মর্মে যে কিছুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন রকি মণ্ডল। এরপর রামনগরের বাসিন্দা আয়েব মণ্ডলকে বাবা সাজিয়ে আধার এবং ভোটার কার্ড তৈরি করেছেন রকি। এদিকে আয়েব মণ্ডলের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পূত্রবধূ জানিয়েছেন, রবি মাঝে মাঝে বাংলাদেশ থেকে তাঁর শ্বশুর আয়েব মণ্ডলের কাছে আসতেন। কিন্তু নথি তৈরির ব্যাপারে বা ভারতীয় পরিচয় পত্র তৈরির ব্যাপারে ওই মহিলা কিছু জানেন না বলেও দাবি করেছেন। তবে অভিযোগকারী বিজেপি নেতার স্পষ্ট অভিযোগ, আয়েব মণ্ডলকেই বাবা সাজিয়ে-দেখিয়ে ভারতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করেছেন রকি। 

শাসক দল তৃণমূল নিজেদের ভোটারের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য এভাবে ভুয়ো পরিচয় পত্র তৈরি করে বাংলাদেশিদের ভারতে নিয়ে আসছে, অভিযোগ বিজেপির। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করার জন্য তাদের দলের বাংলাদেশিদের প্রয়োজন নেই। তৃণমূলের তরফে এও বলা হয়েছে কে কোথা থেকে এসে কাকে বাবা বানিয়ে ভারতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করছে সেটা দেখার দায়িত্ব তাদের নয়। আপাতত রকি মণ্ডলের কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে রকি যে আয়েব মণ্ডলকে বাবা সাজিয়ে ভারতীয় পরিচয় পত্র বানিয়েছেন, সেই ব্যাপারে আয়েব মণ্ডলের পরিবারের লোকেরা কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। 

Continues below advertisement