কলকাতা: এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। অবিলম্বে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে সরানোর দাবিতে এই মামলা বলে সূত্রের খবর।  সংবিধান বিরোধী কাজের অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবী এই মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে।  মামলায় পার্টি করা হল রাষ্ট্রপতি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। 


সম্প্রতি তুঙ্গে উঠেছে রাজ্য-রাজ্যপাল তরজা। রাজ্য প্রশাসনকে তোপ দেগে জগদীপ ধনকড় বলেন, "বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার হয়ে যাচ্ছে। এটা বরদাস্ত করতে পারব না। বাংলার মাটিকে রক্তরঞ্জিত হতে দেখতে পারব না। বাংলায় আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে। সংবিধানকে রক্ষা করা আমার কাজ। মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, সময় বের করে আমার সঙ্গে কথা বলুন। ব্যক্তিগত ইগো নিয়ে চলা ঠিক নয়।" 


এরপরই ‘বাংলার রাজ্যপালকে অপসারণ করুন,  সংসদীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজ্যপালকে সরান।’ বাজেট অধিবেশনে ভাষণ শেষে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতিই রাজ্যপালের নিয়োগকারী এবং তাঁকে অপসারণ বা বদলিও করেন রাষ্ট্রপতি। তাই তাঁকেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে সরানোর অনুরোধ করেন সুদীপ। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তাঁরা শীর্ষস্তরে তাঁদের দাবির কথা জানিয়ে রাখেন। দেখা হবে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আগেই জানা গিয়েছিল, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সংসদে প্রস্তাব আনছে তৃণমূল। রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে সংসদে প্রস্তাব আনতে পারে রাজ্যের শাসক দল। বিধানসভায় রাজ্যপালের আক্রমণের পরে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল ‘সাংবিধানিক পদে থেকেও কর্তব্যে গাফিলতি’র অভিযোগ তুলে অপসারণের প্রস্তাব সংসদে আনতে পারে তৃণমূল। সূত্রের খবর, রাজ্যসভায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে পারেন সুখেন্দু শেখর রায়।


এরই মধ্যে জগদীপ ধনকড়কে সরানোর দাবিতে মামলা রুজু হল হাইকোর্টে।