Police Harassed: রাজ্যের দুই প্রান্তে আক্রান্ত পুলিশ। দু'ক্ষেত্রেই নিয়ম না মানায় পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলেন দায়িত্বে থাকা ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী। কর্তব্য করতে যাওয়াই কাল হয়েছে তাঁদের। প্রকাশ্যে মার খেতে হয়েছে দুই পুলিশকর্মীকে। ভরা রাস্তায় হেনস্থা, নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। স্বভাবতই এভাবে বারংবার পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠছেই। পুজোর আগে এই ধরনের ঘটনা দেখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বেশ চিন্তিত সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ। সম্প্রতি পুলিশকে মার খেতে হয়েছে কলকাতার বেহালা এবং হুগলির চুঁচুড়াতে। জেলা আলাদা হলেও পুলিশ নিগ্রহের ছবিটা প্রায় একই। দুই ঘটনাতেই অবশ্য অভিযুক্তরা আটক হয়েছে। 

বেহালায় আক্রান্ত ট্র্যাফিক সার্জেন্ট, ছেলের বাইক আটকানোয় বাবা এসে মেরে গিয়েছেন পুলিশকর্মীকে 

বেহালায় ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙায় বাইককে আটকানোয় পুলিশকে মারধর ! ট্রাফিক সার্জেন্টের বডি ক্যামেরা ও বাইকের চাবি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ। অভিযুক্ত বাইক চালককে গ্রেফতার করল বেহালা থানার পুলিশ। গতকাল সন্ধেয় পুলিশ নিগ্রহের ঘটনাটি ঘটে বেহালা ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছে। সিগন্যাল ভাঙায় এক তরুণের বাইক আটকান ট্রাফিক সার্জেন্ট। দেখা যায়, বাইক চালকের লাইসেন্স নেই, বিমা এবং পলিউশন সার্টিফিকেটেরও মেয়াদ ফুরিয়েছে। এই অবস্থায় বাবাকে ফোন করে ডাকেন বাইক চালক। অভিযোগ, অভিযুক্তের বাবা এসে ট্রাফিক সার্জেন্টের ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন। পুলিশ পেটানোর অভিযোগে ছেলে গ্রেফতার হলেও বাবা পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। 

হাসপাতালের সামনেই দিনের আলোয় চরম হেনস্থার শিকার পুলিশকর্মী 

চুঁচুড়া হাসপাতালের সামনে মার খেতে হল পুলিশকে। হাসপাতাল রোডে হেলমেট না পরা বাইক আরোহীকে ধরার পর উত্তেজনা। বাইক আরোহীর সঙ্গীরা এসে পুলিশের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। রাস্তার উপরেই পুলিশকে মার, পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধেই দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। এই ঘটনায় ১ মহিলা-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশকে মারধর, প্রশ্নের মুখে আইনশৃঙ্খলা। হেলমেট পরে মোটরবাইক চালানোই নিয়ম। সেই নিয়ম না মানায় বাইক আটকেছিল পুলিশ। আর তার জেরেই মাঝরাস্তায় পুলিশকর্মীকেই চরম হেনস্থার শিকার হতে হল। মারধরের পাশাপাশি আঙুল উঁচিয়ে, তারস্বরে চলে শাসানিও। আশপাশে ততক্ষণে ভিড় জমেছে সাধারণ মানুষের। অথচ আক্রান্ত পুলিশকর্মীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি কেউই। পরিস্থিতি এমনই ছিল যে দেখে মনে হবে, সকলে যেন তামাশা দেখতেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন।