আবির দত্ত, কলকাতা : RG কর-কাণ্ডের একবছরে নবান্ন অভিযানে পুলিশকে মারধরকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১। ধৃত বিজেপি কর্মীর নাম মানসচন্দ্র সাহা। নিউ মার্কেট থানার হাতে গ্রেফতার মানসচন্দ্র সাহা নৈহাটির বাসিন্দা। এই নিয়ে এই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২। DC SSD বিদিশা কলিতার গার্ডকে মারধরকাণ্ডে ঘটনায় এর আগে গ্রেফতার হয় এক বিজেপি নেতা। পাকড়াও করা হয় অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা চন্দন গুপ্তকে। 

৫৫ বছর বয়সী এই বিজেপি নেতা নৈহাটির ২ নম্বর মণ্ডলের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাঁকে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে শনাক্ত করে তারপর গতকাল গ্রেফতার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল কয়েকজন লোক এক পুলিশকর্মীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করছে। যারা মারছে তাদের দলে ছিল এই বিজেপি নেতা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে চিহ্নিত করার পরই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত বিজেপি কর্মী মানসচন্দ্র সাহা নৈহাটির পূর্ব কাঠালিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা। 

আরজি কর কাণ্ডের এক বছর পর বিচারের দাবিতে পথে নেমেছিলেন অভয়ার মা-বাবা। নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। আহ্বান জানিয়েছিলেন সবাইকে। দলীয় পতাকা ছাড়া, বরং হাতে জাতীয় পতাকা নিয়েই বিজেপি কর্মী-সমর্থক-নেতা-নেত্রীরা, এই অভিযানে শামিল হয়েছিলে। আর এই প্রতিবাদ মিছিলেই পরিস্থিতি চরম বিশৃঙ্খল হয়ে যায় চোখের নিমেষে। পুলিশকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। লালবাজারের তরফে প্রকাশ করা হয় ভিডিও ফুটেজ। সেখানে দেখা যায় রাস্তায় ফেলে মারা হচ্ছে পুলিশকর্মীকে। 

এই ঘটনায় গতকালই চন্দন গুপ্ত নামের এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে নিউ মার্কেট থানা। এই ধৃত আবার অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ বলে শোনা গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ২ জনের একসঙ্গে ছবিও দেখা গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ধৃত চন্দন উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের বাসিন্দা। গতকাল বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট ও বউবাজারের সংযোগস্থল থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশকে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৮ অগস্ট নবান্ন অভিযানের দিন অভয়ার মা-বাবার সঙ্গে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয়েছিলেন বিজেপি নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। 

DC SSD বিদিশা কলিতার গার্ডকে রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনা ঘটে গত ৯ অগস্ট। লালবাজার এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, একদল লোক DC SSD বিদিশা কলিতার গার্ডকে রাস্তায় ফেলে মারধর করছেন। এই দলে চন্দন গুপ্ত ছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাটপাড়া ২ নম্বর যে মণ্ডল, তার সেক্রেটারি এই চন্দন গুপ্ত। নবান্ন অভিযানের দিন সরাসরি পুলিশকে আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।