সুনীত হালদার, উদয়নারায়ণপুর: ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত উদয়নারায়ণপুর (Udaynarayanpur Flood)। জলের তলায় কমপক্ষে ১৫টি গ্রাম। জলমগ্ন হরিহরপুর, হোদল, শিবানিপুর, ঘোলা গ্রাম। এলাকাবাসীকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে  নিরাপদ স্থানে। তৈরি করা হয়েছে ১৯টি ত্রাণশিবির।                                 


আতঙ্কের ছবি দক্ষিণবঙ্গে: পুজোর মুখে এ যেন প্রলয়। লাগাতার বৃষ্টি, সেই সঙ্গে বিভিন্ন জলাধার থেকে ছাড়া হচ্ছে জল। আর এই সাঁড়াশি চাপে, ঠিক পুজোর মুখে বন্যার ভ্রুকুটি বাংলায়। কোথাও বাঁধ টপকে গ্রামের পর গ্রামে হানা দিয়েছে নদীর জল। কোথাও আবার জলের তলায় চলে গেছে আস্ত সেতু। তার জেরে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। দক্ষিণবঙ্গের মাথার ওপর যেন ফণা বিস্তার করেছে প্লাবন শঙ্কা  (West Bengal Flood Situation)।                               


প্লাবিত উদয়নারায়ণপুর: পুজোর মুখে হঠাৎ বন্যায় সর্বস্বান্ত হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের কৃষকরা। DVC-র ছাড়া জলে দামোদরের বাঁধ উপছে মঙ্গলবার রাত থেকে করে জল ঢুকতে শুরু করে একের পর এক গ্রামে। প্লাবিত হয় কমপক্ষে ১৫টি গ্রাম। উদয়নারায়ণপুরের টোকাপুর, জঙ্গলপাড়া, শিবানীপুর, আকনা, ঠাকুরানিচক, কুরচি শিবপুর, ঘোলা-সহ একাধিক গ্রামে কৃষিজমি, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি জলের তলায় চলে যায়। ধান, আলু এবং সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আজ সকাল দামোদরের জলস্তর কমছে। তবে অধিকাংশ গ্রাম এখনও জলমগ্ন। পুজোর মুখে ফসল মাঠেই নষ্ট হওয়ায় মাথায় হাত কৃষকদের। পুকুর ভেসে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষিরাও। সরকার থেকে ক্ষতিপূরণ মিলবে কি না তা এখনও জানা নেই। তাই এ বছর পুজোর আনন্দ মাটি।  


দামোদরের নিম্ন অববাহিকায় অবস্থিত হুগলির (Hooghly) তারকেশ্বরে বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায়। তারকেশ্বরের কেশবচক, তালপুর, চাঁপাডাঙায় একাধিক গ্রাম জলমগ্ন। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, দেড়শোর বেশি বাড়িতে জল ঢুকেছে। এই পরিস্থিতিতে ঘর ছেড়ে নদীবাঁধে ত্রিপল খাটিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। হুগলির খানাকুলেও হু হু করে জল ঢুকছে মারোখানা, চিংড়া, পলাশপাই, অড়ুন্ডার মতো বিস্তীর্ণ এলাকায়। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে দামোদর। ফুঁসছে মুণ্ডেশ্বরী। আশঙ্কার প্রহর গুনছে সবাই।


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: অভিষেকের নেতৃত্বে আজ তৃণমূলের রাজভবন-অভিযান