সমীরণ পাল, ঠাকুরনগর: করোনার জন্য নানা বিধিনিষেধের সম্মুখিন হতে হচ্ছে আমাদের এই মুহূর্তে। পবিত্র রথ যাত্রায়ও করোনার প্রভাব পড়ল। করোনাবিধি মেনে রথের দড়িতে টান পড়ল ঠাকুরনগর  ঠাকুরবাড়িতে। উত্তর ২৪ পরগনা ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে রথ উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মতুয়া ভক্তরা প্রতি বছর আসেন। গত বছর করোনা প্রকোপের কারণে রথযাত্রা পালিত করা সম্ভব হয়নি। এবছর করোনার প্রকোপ একটু কমেছে। আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে। তাই রথ যাত্রা এবার করার অনুমতিও মিলেছে। ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে প্রতি বছরই প্রচুর মতুয়া ভক্তরা এসে ভিড় জমান। গত বছর যা করতে পারেননি তাঁরা। কিন্তু এদিন সকাল থেকেই ভিড় ক্রমশ বাড়তে থাকে।


 


এদিন সকালে ডঙ্কা, বাঁশি বাজিয়ে জয় হরিচাঁদ,  জয় গুরুচাঁদ ধ্বনি দিয়ে মন্দির পরিক্রমা করে রথ । অল ইন্ডিয়া মত মহাসঙ্ঘের মহাসংঘাদিপতি সুব্রত ঠাকুর জানিয়েছেন করণাবিধি মেনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মতুয়া ভক্তরা ঠাকুরবাড়ির রথযাত্রা উৎসব পালন করেছেন । রথের মধ্যে চলেছে পূজা অর্চনা ও আরতি। এরপর শুরু হয় রথের রশিতে টান দেওয়ার পর্ব। দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ এসে উপস্থিত হন রথের দড়িতে টান দেওয়ার ও পুণ্য অর্জনের জন্য।




 



গত বছর থেকেই করোনার জন্য নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। শুধু ঠাকুরনগরই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা বিধি মেনে চলছে রথযাত্রা উৎসব। করোনাকালে রথযাত্রা উৎসবে কাটছাঁট হয়েছে তারাপীঠেও। গত বারের মতো এবারও তারা মাকে নিয়ে রথে করে ঘোরানো হবে না। তার বদলে রথে তারা মায়ের প্রতিকৃতি রেখে বিশেষ পুজো করা হচ্ছে। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে তারাপীঠে ভক্ত সমাগম হলেও, এবার সংখ্যাটা অনেক কম।


 


যদিও করোনা আবহে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে মল্লরাজাদের রথের চাকা গড়ায় নি এবছর। পুজোপাঠের পর একটি ছোট রথকে টানা হয়। এবার জাঁকজমক না থাকলেও, রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ভক্ত সমাগম ভালই হয়েছিল। রথের রশিতে টান দিতে না পারলেও রাধামদন গোপাল জিউকে দর্শন করেন ভক্তরা।