অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: মালিকানা হস্তান্তরের জেরে আইনি জটিলতায় এক চা বাগানের পরিচালককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রণক্ষেত্রর চেহারা নিল আলিপুরদুয়ার।


রবিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে কোহিনূর চা বাগানে। ক্ষিপ্ত শ্রমিকরা চা বাগানের বর্তমান পরিচালক ওমপ্রকাশ আগরওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে শামুকতলা থানা ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন।


পরিস্থিতি সামাল দিতে সংশ্লিষ্ট থানায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাত ১০-টা নাগাদ পুলিশ লাঠিচার্জ করার চেষ্টা করলে, পাল্টা আক্রমণ শুরু করে শ্রমিকরা। চতুর্দিক ঘিরে থানা লক্ষ্য করে প্রবল ইটবৃষ্টি শুরু করে ক্ষিপ্ত চা বাগান শ্রমিকরা। পাল্টা জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ।


সূত্রের খবর, আনুমানিক ২৫টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। শামুকতলা থানা চত্বর প্রায় রণক্ষেত্রর চেহারা নেয়। ইটবৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে পুলিশকে থানার পেছনেও আশ্রয় নিতে দেখা যায়।


ইটের আঘাতে চোট পান বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। ঢিলের আঘাতে ভেঙে যায় থানায় রাখা পুলিশের জিপ সহ বেশ কিছু গাড়ি। ইটের ঘায়ে ভেঙে যায় থানার জানলার কাচ, কাচের পার্টিশন।  


আলিপুরদুয়ার এসডিপিও বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে যান।  রাত সাড়ে ১১-টা নাগাদ পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। আটক করা হয়  প্রায় ২০ জন মহিলা এবং ১০ জন পুরুষকে। 


 পুলিশ জানিয়েছে, কোহিনূর বাগানের মালিকানা নিয়ে অনেকদিন ধরেই দুই ব্যবসীয়ার মধ্যে আইনি লড়াই চলছে। কিছুদিন আগে হাইকোর্ট এ নিয়ে একটি নির্দেশও দেয়।


শ্রমিকদের অভিযোগ বর্তমানে আদালতের রায়ে কোহিনূর চা বাগানের মালিকানা বাগান পরিচালক ওমপ্রকাশ আগরওয়ালার পরিবর্তে জনৈক কেশব সিনহাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।


ওই রায় অমান্য করার অপরাধে রবিবার বিকেলের পর চা বাগানের বর্তমান মালিক ওমপ্রকাশ আগরওয়ালাকে আটক করে শামুকতলা থানার পুলিশ।


দাবি, অত্যন্ত শ্রমিকদরদী বলে পরিচিত এই বাগান পরিচালককে পুলিশ আটক করার খবর চাউর হতেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কোহিনূর চা বাগানের শ্রমিক মহল।