ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা :  রাজ্যে ডেঙ্গি ( Dengue ) আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত বুধবার বিধানসভায় ( West Bengal Assembly ) ডেঙ্গি নিয়ে বিবৃতি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছর ডেঙ্গিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শীতের দাপট বাড়লে ডেঙ্গির দাপট কমবে, এমন আশা ছিল চিকিৎসকদেরও। কিন্তু আবারও আতঙ্ক বাড়িয়ে রাজ্যে আরও এক ব্যক্তির ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল। 



বেলেঘাটা আইডি-তে মৃত্যু
এরই মধ্যে বেলেঘাটা আইডি-তে মৃত্যু হল ভাঙড়ের আক্রামুল মোল্লার। তাঁর বয়স মাত্র  ৩৮। মঙ্গলবার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি হন আক্রামুল। কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল  ওই রোগীর, খবর হাসপাতাল সূত্রের। বুধবার সন্ধেয় মৃত্যু হয় আক্রামুল মোল্লার। 


 উদ্বেগজনক ডেঙ্গি পরিস্থিতি
রাজ্যে উদ্বেগজনক ডেঙ্গি পরিস্থিতি।  সেই আঁচ গিয়ে পড়ে বিধানসভায়ও। মঙ্গলবার, বিধানসভার প্রথমার্ধ্বে ডেঙ্গি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনেন বিজেপি বিধায়করা।  মূলতুবি প্রস্তাব পাঠের অনুমতি দিলেও, এনিয়ে আলোচনার অনুমতি দেননি অধ্যক্ষ । এরপরই অধিবেশন কক্ষে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা।  বাইরে বেরিয়ে, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে শুরু হয় বিক্ষোভ। 


এরপর দিনই মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বলেন, ' এর মধ্যে ৬ জন সরকারি হাসপাতালে, ৫ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, শিলিগুড়িতে সংক্রমণ বেশি। গতবছর ডেঙ্গি কম ছিল, এ বছর ডেঙ্গি বেড়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঠান্ডা বাড়লে, ডেঙ্গি কমবে। '

সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে, তাই ডেঙ্গি তথ্য পোর্টালে দেওয়া যাচ্ছে না। অন্যান্য রাজ্য, কেন্দ্র ও আমরাও তথ্য দিতে পারছি না। ডেঙ্গি নিয়ে বিধানসভায় জানান মুখ্যমন্ত্রী।


অন্যদিকে, ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে দেগঙ্গায়। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের দাবি।  সরকারি হাসপাতাল থেকে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ গোপন করছে, তার জবাব দিতে হবে, বলে দাবি মৃতার বাড়ির লোকের। মৃত গৃহবধুর নাম শাহানারা বিবি(৩৪)। ওই গৃহবধূ দেগঙ্গার নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরডাঙ্গার বাসিন্দা। গত সোমবার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গি পজেটিভ ধরা পড়ে। বিশ্বনাথপুর হাসপাতাল থেকে গৃহবধূর পরিবারকে ফোন করে ওই ভর্তি করানো হয়। বিশ্বনাথপুরে তিনদিন চিকিৎসা চলার পরে বুধবার তার অবস্থার অবনতি হলে বারাসাত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে চিকিৎসক।বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ওই গৃহবধুর মৃত্যু হয়।