রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ : পঞ্চায়েত ভোটের ( Panchayet poll ) আগে উত্তপ্ত বাংলা। বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। দিন ঘোষণা না হলেও, জেলা-জেলা থেকে পাওয়া যাচ্ছে বারুদের গন্ধ । বইছে রক্তস্রোত। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে খুন হলেন, নদিয়ার ( Nadia ) এক তৃণমূল নেতা ( TMC Leader ) । বৃহস্পতিবার নওদায় বাইকে করে যাওয়ার সময়, রাস্তা আটকে, গুলি-বোমা ছুড়ে তাঁকে খুন করা হয়। অভিযোগ উঠেছে নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধেই। ফলে জোরাল হচ্ছে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব। যদিও, এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি।


খুনের নেপথ্যে কি তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? 
শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কি রাজনৈতিক ( Political Murder ) রক্তপাত? জোরাল হচ্ছে এই প্রশ্ন। তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধেই থানায় এফআইআর করল নিহতের পরিবার। নওদা থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে নিহতের পরিবার। যাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক ও নওদার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সফিউজাম্মান শেখ। যে কারণে এই খুনের ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বই জোরাল হয়েছে।                                                                   

আরও পড়ুন: TET: জারি একাধিক বিধি, নবান্ন ঠিক করল এই পথেই সুষ্ঠভাবে হবে টেট


সিআইডি তদন্তের দাবি
তবে নিহতের স্ত্রী প্রথম সিবিআই তদন্তের দাবি করলেও নওদা থানায় অভিযোগ দায়েরের পর তিনি সিআইডি তদন্তের দাবি করেছেন।  স্বামীর এভাবে প্রাণ যাওয়ার ঘটনায় কার্যত দিশেহারা তাঁর পরিবার। চোখের জল মানছে না বাধা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী, একপ্রকার দায়ী করেছেন স্বামীর রাজনীতি করাকেই। নিহত স্ত্রীর অভিযোগ, পার্টি করতে গিয়েই তাঁর স্বামীর মৃত্যু হল। কান্নায় ভেঙে পড়ে বললেন মুর্শিদাবাদে নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী। 


মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, কয়েক মিনিট পরেই তিনি ঘটনাস্থলে এসে দেখেন, দেহ পড়ে রয়েছে। তখন সেখানে কেউ ছিল না। তাঁর দাবি, একটু এগোতেই একটি স্কুলের কাছে ২টি বোমা পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।


পঞ্চায়েত ভোটের আগে দিকে দিকে বোমা উদ্ধার, বিস্ফোরণ ঘিরে রাজনীতির পারদ চড়ছিল। এবার তাতে নতুন মাত্রা যোগ করল নওদার খুন।