কলকাতা: সম্ভবত মে মাসের মধ্যেই হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023)। পয়লা বৈশাখের পর বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, সূত্রের খবর। 'ভোট নিয়ে সব সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই', আজই জানায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ভোট পরিচালনা করতে আর কোনও বিধিনিষেধ থাকল না রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর (West Bengal Election Commission)। 


১লা বৈশাখের আশেপাশেই হতে পারে বিজ্ঞপ্তি জারি


এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে কোও সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। তবে মে মাসের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ১লা বৈশাখের আশেপাশেই হতে পারে বিজ্ঞপ্তি জারি। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে ভোট করানোর প্রশ্নও রয়েছে। তবে সশস্ত্র বাহিনী থাকবে বলে পাকা খবর মিলছে। যদিও নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপরই ছেড়েছে আদালত।


এ ক্ষেত্রে আরও একটি বিষয়ের উল্লেখ জরুরি। তা হল, বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার ২১ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে বলে নিয়ম রয়েছে কমিশনের। সে ক্ষেত্রে এপ্রিলের শেষে বিজ্ঞপ্তি জারি হলে মে মাসের মাঝামাঝির মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই মে মাসের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে বলে জোরাল হচ্ছে সম্ভাবনা।


আরও পড়ুন: Sujan Chakraborty: আসল নামে সার্টিফিকেটই নেই, তাও প্রাথমিক সংসদের সভাপতি! এ বার তৃণমূলের নিশানায় সুজনের শ্বশুর


এর আগে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে এসেছিল। সে বার অভিযোগ ওঠে, জেলা পরিষদের ২০০৪টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩০৯৮টি আসনে এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬ হাজার ৮৬১ আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৬৫০। কিন্তু ৩১ হাজার ৭৮৯ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পঞ্চায়েত সমিতির ৯ হাজার ২১৭টি আসনের মধ্যে ৬ হাজার ১১৯ এবং জেলা পরিষদের ৮২৫টি আসনের মধ্যে মাত্র ৬৬১টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল বলে অভিযোগ সামনে আসে। 


সুষ্ঠ ভাবে করাতে তৎপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন


২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের বিরুদ্ধে গায়ের জোরে ভোট করানোর অভিযোগ করে বিরোধীরা। বহু সংখ্যক আসনে বিরোধীদের প্রার্থী দাঁড়া করাতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। আবার মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা, জমা দিয়েও তা তুলে নিতে বাধ্য করার অভিযোগও সামনে আসে। এ বারের নির্বাচন তাই সুষ্ঠ ভাবে করাতে তৎপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার জন্য ইতিমধ্যেই তিন রংয়ের ব্যালট পেপারের ই-টেন্ডার সেরে ফেলা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতে সাদা, পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে গোলাপি এবং জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে হলুদ রংয়ের ব্যালট পেপারের টেন্ডার সারা হয়েছে কমিশনের তরফে।