কলকাতা: একটা টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে তিনি অধিনায়ক হয়েছেন। শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) ছিটকে যাওয়ার পর এবার বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে আসন্ন মরসুমে কেকেআরের জার্সিতে খেলতে নামবেন নীতিশ রানা (Nitish Rana)। ২০১৮ সালে এই দলে যোগ দেওয়ার পর ধীরে ধীরে লিডারশিপ গ্রুপের অন্যতম অঙ্গ হয়ে উঠেছিলেন। এবার একেবারে ক্য়াপ্টেন্সির দায়িত্ব। রানা বলছেন, ''অধিনায়কত্ব নতুন কিছু নয়, বিগত ২-৩ বছর আমি একটা লিডারশিপ গ্রুপের সদস্য। এই বছর শুধু ক্যাপ্টেনসি ট্যাগ জুড়ল। আর এই ট্যাগের জন্য আমি বাড়তি কোনও চাপ নেব না। আমার মনে হয় কোনও কিছু নতুন। দায়িত্ব নিতে আমি ভালোবাসি। ১০ দিন পর চাপ হবে। যখনই কেউ কিছু জীবনে প্রথমবার করে, তাহলে কিছুটা চাপ থাক।''


সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ফেভারিট প্লেয়ার বলেছিলেন একটা সময় রানা। তাঁকেই কি নেতৃত্বেও আইডল মানেন? নতুন নাইট অধিনায়ক বলছেন, ''শুধু দাদাই নয়, আমি অনেক বড় বড় অধিনায়ককে দেখেছি। অনেকের অধীনে খেলেছি। তালিকায় গৌতম গম্ভীর, অইন মর্গ্যান, দীনেশ কার্তিক, শ্রেয়স আইয়ার রয়েছেন। কিন্তু আমি কাউকে ফলো করতে চাই না। আমার মনে হয় যদি তেমন কিছু করি, তবে নিজস্বতা নষ্ট হবে আমার। নিজের মত করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অধীনে খেলিনি, কিন্তু সবাই জানে যে দেশের জন্য ওঁনার অবদান। তবে আমি আশা করি নিজের আলাদা পরিচয় গড়তে পারব।''


দল নিয়ে কতটা আশাবাদী? শ্রেয়সের চোট নিয়েও মুখ খুললেন রানা। তিনি বলেন, ''শেষ মুহূর্তে শ্রেয়সের ছিটকে যাওয়াটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। তবে আমাদের তা নিয়ে বেশি ভাবলে হবে না। এমনিতে অনুশীলন ভাল হয়েছে। দিনের শেষে ক্রিকেট জাস্ট আ গেম। পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। আবহাওয়া হয়তো খুব কঠিন হতে পারে। সে ঘরোয়া ক্রিকেট হোক বা আইপিএল। ম্যান ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় আইপিএলে। কারণ বিদেশি ক্রিকেটাররা এসে একটা ইউনিট তৈরি করে। আশা করি চন্দু স্য়ার ও সাপোর্ট স্টাফদের সহযোগিতায় ভাল পারফর্ম করতে পারব আমরা।''


কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে এবিপি লাইভের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল 'ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার' এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে। রঞ্জি জয়ী কোচ বলছেন, ''আমাদের কাছেও এটি নতুন নিয়ম। একটু চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরাও এই নিয়ম নিয়ে আলোচনা করছি। কোচ ও অধিনায়ককে আলোচনা করে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নিজেদের তৈরি থাকতে হবে। সব সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গেও আলোচনা করছি আমরা এই বিষয়ে। ম্যাচের দিন পরিস্থিতি বুঝেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।''