West Bengal Panchayat Poll News Live : মনোনয়ন পর্বেই বেলাগাম সন্ত্রাস, রাজভবনে খুলছে কন্ট্রোল রুম
আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। দিনভর রাজ্যের কোথায় কী ঘটছে, জেনে নিন পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত খবর
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ঘরছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি প্রার্থীরা। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুমকি ও সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছেন ঘরছাড়া বিজেপি প্রার্থীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।
ভোটে সন্ত্রাস, এবার রাজভবনে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম। মনোনয়ন পর্বেই বেলাগাম সন্ত্রাস, রাজভবনে খুলছে কন্ট্রোল রুম। ভাঙড়, ক্যানিংয়ের পর কাল মুর্শিদাবাদ যেতে পারেন রাজ্যপাল। ভাঙড়, ক্যানিং পরিদর্শনের পরে খড়গ্রামে নিহত পরিবারের সঙ্গে কথা। খড়গ্রামে নিহত কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল: সূত্র। মনোনয়নের প্রথম দিনেই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হন কংগ্রেস কর্মী। রাজভবনে অভিযোগ জানানো যাবে OSD2w.b.governor@gmail.com।
তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে, ভোটে দাঁড়ানো নির্দল প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে, দলে ফেরার দরজা বন্ধ (Panchayat Elections 2023)। কালীঘাটের বৈঠকে কড়াবার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভোট প্রচারে নামবেন শীর্ষ নেতৃত্বের ৫০ জন নেতা-নেত্রী। ভাঙড়ে সওকত মোল্লার সঙ্গে দায়িত্ব দেওয়া হল সব্যসাচী দত্তকেও।
অনুব্রতহীন বীরভূমে ভোটের আগেই ২৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয় তৃণমূলের। ভোটের আগেই লাভপুর ব্লকে ৯টি, নানুর ব্লকে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয় তৃণমূলের। বোলপুর ব্লকে ভোটের আগেই ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল তৃণমূলের। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থুপসরা, উচকরণ, নোয়ানগর কড্ডা, জলুন্দি পঞ্চায়েতে জয় তৃণমূলের। নানুরের বড়াসাওতা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ২২, সবকটিতেই প্রার্থী তৃণমূলের । ৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েও ৬টি থেকে প্রত্যাহার সিপিএমের, নেই আর কোনও বিরোধী প্রার্থী চণ্ডীদাস নানুর পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৯, সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। একটি মাত্র আসনে প্রার্থী দিলেও প্রত্যাহার সিপিএমের, নেই আর কোনও বিরোধী প্রার্থী। কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ২০, সবকটিতেই তৃণমূলের প্রার্থী। ৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েও ৩টি থেকে প্রত্যাহার বিজেপির, নেই আর কোনও বিরোধী প্রার্থী।
ভোটের আগেই দিকে দিকে অশান্তি, পরিস্থিতি সরেজমিনে রাজ্যপাল।পঞ্চায়েত ভোটের আগে একের পর এক অশান্তির ঘটনায় ভাঙড়ের পর এদিন ক্যানিংয়ে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 'কোনও ধরনের হিংসা বরদাস্ত করব না, অবাধে ভোট চাই। সন্ত্রাসের মুখে প্রার্থীদের মনোবল ভেঙে দেখে গেছে। রাজ্যপাল হিসেবে সবার কাছে আমার দায়বদ্ধতা আছে। যেখানে গেছি গণতন্ত্রের উপর হামলার ঘটনা দেখেছি। এটা চলতে পারে না। যে কোনও মূল্যে কোর্টের নির্দেশ পালন করতে হবে।'
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আগে ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলার স্বাস্থ্যের বেহাল পরিস্থিতি। ভাঙড়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই তার ছাপ স্পষ্ট। দেওয়ালে গুলির দাগ স্পষ্ট। ২ দিন বন্ধ থাকার পর, শনিবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে তালাই খুলতে পারলেন না কর্মীরা। স্থানীয়দের চোখেমুখে এখনও স্পষ্ট আতঙ্কের ছাপ।
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পেশ নিয়ে বেনজির অশান্তির সাক্ষী থেকেছে বাংলা। ১৫ জুন ছিল মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। এবার জেলা জেলা থেকে আসছে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ।
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll 2023) আবহে হিংসার মধ্য়েই জেলায় জেলায় দলবদলের হিড়িক। পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ি। তিন জেলায় তৃণমূলে ভাঙন ধরাল সিপিএম। যদিও দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল।
'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর গাড়িতে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর দ্বিতীয় হামলা, তীব্র নিন্দা করছি,' ট্যুইট বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
এদিন শমীক ভট্টাচার্য বলেন, পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার, দুষ্কৃতী, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, এরা যৌথভাবে গ্রামগঞ্জে পৌঁছে গিয়েছে মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত করতে। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য করতে।..মদন মিত্র দলের মধ্যে নিজের প্রাসঙ্গিকতা বাড়ানোর জন্য, তিনি আবার প্রচেষ্টা করেছেন। আসলে এই বিবৃতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নয়, এই বিবৃতি বিজেপির বিরুদ্ধে নয়, এই বিবৃতি আদালতের বিরুদ্ধে নয়, মদন মিত্রের এই বিবৃতির আসল অর্থ হল, একটু জায়গা দাও মাগো, তোমার মন্দিরে বসি। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ফিরে যেতে চাইছেন।'অপরদিকে, 'সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মদন মিত্র রাজ্যপালকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। রুচিসম্মন্ন মানুষ এভাবে দেখে না, দেখতে পারেন না।'
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে (Panchayat Elections 2023) বাংলা-বিরোধী অশুভ আঁতাতের অভিযোগ নিয়ে এবার সরব হল তৃণমূল (TMC)। তাদের অভিযোগ, বিজেপি-র (BJP) সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যে তৃণমূল এবং বাংলা বিরোধী অশুভ আঁতাত তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটলে এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ছিল (Mamata Banerjee)। সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি, রণকৌশল নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। এর পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দি রায় এবং দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেখানে ISF, BJP, CPM এবং কংগ্রেসকে একযোগে নিশানা করেন তাঁরা।
ভোটের আগেই সন্ত্রাস। রাজ্যপালের ভাঙড়-সফরের পর রাজভবনে বিজেপি। সন্ত্রাস নিয়ে সিভি আনন্দ বোসকে নালিশ সুকান্ত মজুমদারের। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল। দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতির।
এদিন সুকান্ত মজুমদার ট্যুইট করে জানিয়েছেন, 'নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে বোমা ছোড়া হয়েছে। পুলিশ আক্ষরিক অর্থেই অসহায়। উদয়ন গুহ হাজার -দেড়হাজার লোক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁরা আমাদের কর্মীদের হাত থেকে ফর্ম বি ছিনিয়ে নিচ্ছে,' বলে অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতির।
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে তৃণমূল শিবিরে ভাঙন। কংগ্রেসে যোগ দিলেন শাসকদলের সোশাল মিডিয়া সেলের নেতা গগন ঘটক ও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েত সমিতির ৩ নম্বর আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন গগনের স্ত্রী নিবেদিতা ঘটক। এবার দলবদল করলেন তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেলের এই নেতাও। তাঁর দাবি, দুর্নীতির প্রতিবাদেই তৃণমূলের সঙ্গ-ত্যাগ। আগামী দিনে আরও অনেকে শাসকদল ছেড়ে তাদের দলে যোগ দেবে বলে কংগ্রেসের দাবি। গগন সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন, ফলে তাঁর দলত্যাগে সংগঠনের ক্ষতি হবে না, প্রতিক্রিয়া ঘাসফুল শিবিরের।
মনোনয়ন পর্বে (Nomination Phase) রক্তস্নাত হয়েছে বাংলা। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) মাঝে বেশ কিছু দিন বাকি থাকলেও হিংসা-মারামারির রেশ অবশ্য অব্যাহত। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকার দখল নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) ময়নার বাকচায় তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষ (TMC BJP Clash)। এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ। সংঘর্ষে আহত উভয়পক্ষের ২ কর্মী। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
এবার মালদায় তৃণমূল নেতা খুন। কালিয়াচকে তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুন। সুজাপুরের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীকে পিটিয়ে খুন। মনোনয়নের পর স্ক্রুটিনি পর্বেও বেলাগাম সন্ত্রাস।
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে তৃণমূল শিবিরে ভাঙন। কংগ্রেসে যোগ দিলেন শাসকদলের সোশাল মিডিয়া সেলের নেতা গগন ঘটক ও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েত সমিতির ৩ নম্বর আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন গগনের স্ত্রী নিবেদিতা ঘটক। এবার দলবদল করলেন তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেলের এই নেতাও। তাঁর দাবি, দুর্নীতির প্রতিবাদেই তৃণমূলের সঙ্গ-ত্যাগ। আগামী দিনে আরও অনেকে শাসকদল ছেড়ে তাদের দলে যোগ দেবে বলে কংগ্রেসের দাবি। গগন সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন, ফলে তাঁর দলত্যাগে সংগঠনের ক্ষতি হবে না, প্রতিক্রিয়া ঘাসফুল শিবিরের।
ভাঙড়ে মনোনয়ন-সন্ত্রাসের বলি আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা। এদিন নিহত দলীয় কর্মীর বাড়িতে যান আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি। মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনে আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লাকে গুলি করে খুন করা হয়। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আইএসএফের দাবি, ওই দিন পুলিশি ঘেরাটোপেই মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন তাদের প্রার্থীরা। শোনপুর বাজারের কাছে প্রার্থীদের মিছিলে গুলি চালায় তৃণমূলের দুষকৃতীরা। সেইসময় পুলিশ সরে যায় বলে আইএসএফ অভিযোগ করে।
মনোনয়ন পর্বে ভাঙড়ে একের পর এক হিংসার ঘটনা। এখনও পর্যন্ত ৬টি এফআইআর দায়ের করেছে পুুলিশ। বিজয়গঞ্জ বাজার, ভাঙড় কলেজ রোড-সহ বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনায় পুলিশের তরফে ৩টি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু হয়েছে। এর মধ্যে হিংসা ছড়ানো, কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীকে মারধর-সহ বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারা রয়েছে। এছাড়া, ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে বিডিও অফিসে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তোলা হয়েছে। পঞ্চম অভিযোগটি করেছেন মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনে নিহত তৃণমূল কর্মী রশিদ মোল্লার ভাই। আইএসএফের বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগে এফআইআর হয়েছে। তবে এর পাল্টা আইএসএফের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মনোনয়নের পর এবার স্ক্রুটিনি পর্বেও কোচবিহারের দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের সাহেবগঞ্জে তুলকালাম। তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ। নিশীথ প্রামাণিকের গাড়ি লক্ষ্য করে তির ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সামনেই বোমাবাজি শুরু হয়। বিজেপির অভিযোগ, দিনহাটা ২ নম্বর ব্লক অফিসে মনোনয়নের স্ক্রুটিনি চলাকালীন পুলিশের সামনেই তাদের প্রার্থীদের মারধর করে বিডিও অফিস থেকে বের করে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। নিশীথ প্রামাণিকের অভিযোগ, ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিডিও অফিসের সামনে তৃণমূল কর্মীরা জড়ো হন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁকে বিডিও অফিসে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। পরে র্যাফ নামিয়ে ও লাঠিচার্জ করে বেআইনি জমায়েত হঠানো হয়।
রাজপথে ফের বেপরোয়া গাড়ির দৌরাত্ম্য। হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় লরির ধাক্কায় ডান হাত খোয়াতে হল অটো আরোহী মহিলাকে। অন্যদিকে, পুলিশ লেখা মোটরবাইকের ধাক্কায় নারকেলডাঙায় আহত হলেন আরেক মহিলা পথচারী। দুই দুর্ঘটনা ঘিরে ফের একবার শহরের যানশাসন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
ভোটের আগেই সন্ত্রাস! রাজভবনের দ্বারস্থ বিজেপি। 'রাজ্যপালকে ভোট-হিংসার কথা জানিয়েছি। গণতন্ত্রে হিংসার কোনও জায়গা নেই, জানিয়েছেন রাজ্যপাল। ভোটে অশান্তি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল। গতকাল ভাঙড়ে গিয়ে রাজ্যপাল বুঝেছেন আদতে কী ঘটেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মুখ্যমন্ত্রীর কাঠের পুতুল'। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও থাপ্পড় খাবে রাজ্য, বাহিনী-নির্দেশ চ্যালেঞ্জ নিয়ে আক্রমণ সুকান্তর।
মনোনয়ন পর্ব মেটার পর এবার প্রত্যাহার-সন্ত্রাস। নদিয়ার চাপড়ায় সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাম প্রার্থীর পরিবারের ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি। এদের মধ্যে ৩ জনের আঘাত গুরুতর। পরিবারের দাবি, ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ চাপড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী সাহাজুদ্দিন শেখ। অভিযোগ, গতকাল এক সিপিএম কর্মীকে মারধরের প্রতিবাদ করায়, তৃণমূলের রোষের মুখে পড়ে বাম প্রার্থীর পরিবার। রাতে তৃণমূলের দুষকৃতীরা সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করে। পারিবারিক গন্ডগোল, রাজনীতির যোগ নেই, দাবি শাসকদলের।
রাতের অন্ধকারে সিপিএম ও আইএসএফ প্রার্থীদের বাড়িতে সিভিক ভলান্টিয়ার পাঠিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ১ নম্বর ও কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এবার এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম ও আইএসএফ। অভিযোগ, বিরোধী প্রার্থীদের বাড়িতে সিভিক ভলান্টিয়ার পাঠিয়ে খুন অথবা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেল-জরিমানার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাতে পুলিশ গেলে ক্ষোভ উগরে দেন সিপিএম ও আইএসএফ প্রার্থীরা। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিরোধীরা প্রার্থী দেওয়ায় এটা প্রমাণিত যে, এলাকায় সন্ত্রাস হচ্ছে না। হেরে যাওয়ার ভয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ হাইকোর্টের। চ্যালেঞ্জ করে আজই সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন: সূত্র। হাইকোর্টের দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা শেষের আগেই সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য ও কমিশন: সূত্র। যদিও কমিশনের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রাখলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এখনই বলতে পারছি না, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রশ্নে জবাব রাজীব সিন্হার। পঞ্চায়েত ভোটে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাইতে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে তৃণমূল শিবিরে ভাঙন। কংগ্রেসে যোগ দিলেন শাসকদলের সোশাল মিডিয়া সেলের নেতা গগন ঘটক ও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েত সমিতির ৩ নম্বর আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন গগনের স্ত্রী নিবেদিতা ঘটক। এবার দলবদল করলেন তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেলের এই নেতাও। তাঁর দাবি, দুর্নীতির প্রতিবাদেই তৃণমূলের সঙ্গ-ত্যাগ। আগামী দিনে আরও অনেকে শাসকদল ছেড়ে তাদের দলে যোগ দেবে বলে কংগ্রেসের দাবি। গগন সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন, ফলে তাঁর দলত্যাগে সংগঠনের ক্ষতি হবে না, প্রতিক্রিয়া ঘাসফুল শিবিরের।
পুলিশ লেখা মোটরবাইকের ধাক্কায় আহত মহিলা পথচারী। এমনই অভিযোগ উঠল নারকেলডাঙায়। গতকাল রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিটে। আহত মহিলার দাবি, পুলিশ লেখা বাইকের চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় মহিলাকে ধাক্কা মারেন। আহত মহিলাকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নারকেলডাঙা থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। বাইক চালকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
আজ ভাঙড়ে মনোনয়নের স্ক্রুটিনি। অশান্তি এড়াতে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লক অফিস পুলিশে ছয়লাপ। আশেপাশের এলাকায় কোনও জমায়েত বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কি না দেখতে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারির ভাবনা পুলিশের। মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনে কার্যত ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের দখল নিয়েছিল দুষকৃতীরা। বিডিও
বিডিও অফিসের সামনে মুহুর্মুহু বোমা পড়েছিল। একদিনে ঝরে গিয়েছিল ৩টি তাজা প্রাণ। ওই দিন পুলিশি তৎপরতা দেখা না গেলেও, আজ নিরাপত্তায় মোড়া ভাঙড় ২ নম্বর বিডিও অফিস।
ভাঙড়ে মনোনয়ন-সন্ত্রাসের বলি আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা। এদিন নিহত দলীয় কর্মীর বাড়িতে যান আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি। মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনে আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লাকে গুলি করে খুন করা হয়। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আইএসএফের দাবি, ওই দিন পুলিশি ঘেরাটোপেই মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন তাদের প্রার্থীরা। শোনপুর বাজারের কাছে প্রার্থীদের মিছিলে গুলি চালায় তৃণমূলের দুষকৃতীরা। সেইসময় পুলিশ সরে যায় বলে আইএসএফ অভিযোগ করে।
ISF-এর ওপর গুলি চালানোর জন্য পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা। এক যুবকের ভাইরাল ভিডিও ঘিরে উত্তপ্ত ভাঙড়ের রাজনীতি! ইতিমধ্যে সেই ভাইরাল ভিডিও হাইকোর্টে দেখিয়েছেন ISF-এর আইনজীবী। যদিও সওকত মোল্লার দাবি, জোর করে ওই যুবককে হামলার কথা বলিয়ে নেওয়া হয়েছে! প্রথমে মুখে সওকত মোল্লার নাম বললেও, পরে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে অবস্থান বদল ভাইরাল হওয়া যুবকেরও।
মনোনয়ন পর্ব শেষেও অশান্তিতে বিরাম নেই। এবার আইএসএফ ও তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হাওড়ার জগৎবল্লভপুর। চলল বোমাবাজি, বাইক ভাঙচুর। শুক্রবার সন্ধেয় জগৎবল্লভপুরের ইছানগরীতে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আইএসএফের মিটিং চলছিল। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের হুমকি দেয়। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। তারপরই বোমাবাজি, ভাঙচুর চালানো হয়। যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ দাবি করেছেন, বহিরাগতরা অস্ত্র নিয়ে জমায়েত করেছিল। তৃণমূল কর্মীরা পুলিশে খবর দেওয়ায় তাঁদের ওপরই হামলা চালানো হয়।
জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন দিতে গিয়ে, বাধার মুখে পড়েছেন বিরোধী প্রার্থীরা। অনেক জায়গায় আবার পাল্টা মার দিয়ে, তাঁরা প্রতিরোধও গড়ে তুলেছেন। শুক্রবার তা নিয়ে পাল্টা মুখ খুললেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেছেন, প্রতিরোধ করলে প্রতিবাদ হবে। এনিয়ে জবাব দিতে দেরি করেনি বিরোধীরাও।
কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছে রাজ্য় সরকার ও রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। সরকার ও কমিশন সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে, তা আঁচ করে আগেই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে সারা রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ। আজই সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে একদিনের মধ্যে উল্টো সুর রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের (State Election Commission)।
বাংলায় (West Bengal) শান্তিতে মনোনয়ন জমা হয়েছে, অন্য রাজ্যে হয় না। মাত্র ২টি বুথে গন্ডগোলে বাংলাজুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল, আক্রমণ মমতার।
কত মানুষের মৃত্যু হলে, সেই মনোনয়ন খারাপ লাগবে ? গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে এটা ভয়ঙ্কর পরিবেশ। পাল্টা আক্রমণ নৌশাদের। এনআইএ তদন্তের দাবি।
ভাঙড়ে বেলাগাম সন্ত্রাস, জোড়া খুন। বাতাসে বারুদের গন্ধ, রাস্তায় পড়ে গুলির খোল, উদ্ধার একের পর বোমা। নিষ্ক্রিয় করল পুলিশ।
মনোনয়নে সন্ত্রাস বিধ্বস্ত ভাঙড় পরিদর্শনে রাজ্যপাল। কথা বললেন বিডিও-সাধারণ মানুষের সঙ্গে। সি ভি আনন্দ বোসের সামনে পড়ে থাকা বোমা সরালেন রাজ্যপালের নিরাপত্তারক্ষী।
যে কোনও মূল্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। শান্তিপূর্ণ ভোটই বাংলাকে ব্যতিক্রমী করে তুলবে। রাজ্যপাল হিসেবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। ভাঙড় পরিদর্শনের পর প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের।
রাজভবনে থাকেন, অথচ নজর ভাগাড়ে। রাজ্যপাল না হরিদাস পাল। রাজ্যপালের উস্কানিতে ভাগাড়ে যাত লাশ যাবে, ভূমিকা থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে, দায়িত্ব নিতে হবে। বেনজির আক্রমণ মদনের।
ভাঙড়ের ঘটনা তৃণমূল করেনি। বিজেপির থেকে টাকা নিতে হবে, আর নেতা হতে হবে। মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, একটা এমএলএ হয়ে বড় বড় কথা। নাম না করে নৌশাদকে আক্রমণ মমতার।
সৎ সাহস থাকলে কে টাকা দিয়েছে বলুন ? আমার সঙ্গে দেখা করলে ভাঙড়ের ঘটনা ঘটত না। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে স্বাগত জানান, নৌশাদে না। কার সঙ্গে বিজেপির যোগ স্পষ্ট, পাল্টা নৌশাদ।
ভাঙড়-বসিরহাটকাণ্ডে মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট রাজ্যের তলব হাইকোর্টের। আদালত কোনও রাজনৈতিক দলকে নিয়ে চিন্তা করছে না, মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। উদ্বেগ প্রকাশ বিচারপতি মান্থার।
নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়। চোপড়া, কোচবিহার, মালদা, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমানে জয় তৃণমূল প্রার্থীদের। প্রার্থীই দিতে পারল না বিরোধীরা।
মনোনয়নে প্রথম স্থানে তৃণমূল, জমা পড়ল ৮২ হাজার ৮২৭টি মনোনয়ন, যা তিনটি স্তর মিলিয়ে ১০ হাজার ২৮০টি বেশি। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি, তৃতীয় সিপিএম।
প্রায় ১০০০০ বেশি মনোনয়ন !
হাইকোর্টের নির্দেশে বসিরহাটে মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা বিজেপি প্রার্থীদের। মনোনয়ন সময়সীমা শেষের পরেও কী করে ফের মনোনয়ন ? প্রশ্ন চন্দ্রিমার।
মনোনয়ন পর্বে নবগ্রামে তৃণমূল নেতাকে খুন, অভিযুক্ত কংগ্রেস। গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস প্রার্থীর বাবা। গ্রেফতার ২ কংগ্রেস নেতা সহ ৬ জন।
মনোনয়নের পর গ্রামে ঢুকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হামলা। অন্তর্দ্বন্দ্বে খুন। অভিযোগ অধীরের। শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অশান্ত করতে পরিকল্পিত খুন, পাল্টা তৃণমূল।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -